কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুদ্ধবিমান বানাবে যুক্তরাজ্য-ইতালি-জাপান

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২২; সময়: ১২:৪৮ অপরাহ্ণ |
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুদ্ধবিমান বানাবে যুক্তরাজ্য-ইতালি-জাপান

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : যুক্তরাজ্য, ইতালি ও জাপানের নতুন ফাইটার জেট আকাশে কেমন দেখাতে পারে তার একটি ধারণা চিত্র

অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান বানাবে যুক্তরাজ্য, ইতালি এবং জাপান। দেশ তিনটির যৌথ উদ্যোগে নির্মিতব্য অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে সক্ষম হবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এমন একটি নতুন ফাইটার জেট তৈরির জন্য যুক্তরাজ্য, ইতালি এবং জাপানের মধ্যে একটি সহযোগিতামূলক প্রকল্প ঘোষণা করতে প্রস্তুত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করাই যৌথ এই উদ্যোগের লক্ষ্য।

বিবিসি বলছে, যুক্তরাজ্য, ইতালি এবং জাপান পরবর্তী প্রজন্মের ফাইটার জেট তৈরি করবে যা শেষ পর্যন্ত টাইফুন জেটকে প্রতিস্থাপন করবে। নতুন ওই যুদ্ধবিমান ২০৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে পরিষেবাতে প্রবেশ করবে।

এছাড়া নতুন এই টেম্পেস্ট জেট সর্বাধুনিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমানের উন্নয়নের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। মূলত এই ধরনের যুদ্ধবিমান তৈরি করার লক্ষ্য হচ্ছে, এটি তীব্র গতি সম্পন্ন হবে, উন্নত সেন্সর ব্যবহার করবে এবং এমনকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করবে; বিশেষ করে যখন মানব পাইলট অভিভূত হবে বা চরম চাপের মধ্যে থাকবে।

এছাড়া প্রয়োজন হলে এই যুদ্ধবিমান পাইলটের ইনপুট ছাড়াই উড়ে যেতে পারে এবং হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ করতে সক্ষম হতে পারে। কিন্তু এই ধরনের একটি জটিল বিমান তৈরি করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আর তাই এই কাজে ব্রিটেন অংশীদারদের সন্ধান করছে।

বিবিসি বলছে, ব্রিটেনের এই উদ্যোগে ইতালি আগে থেকেই ছিল। তবে এই উদ্যোগে জাপানের সংযোজন একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কারণ চীনকে নিয়ে ক্রমবর্ধমান চিন্তা ও উদ্বেগের কারণে ব্রিটেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মিত্রদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে।

অবশ্য অন্যান্য দেশগুলো এখনও এই উদ্যোগে যোগ দিতে পারে। ফ্রান্স, জার্মানি এবং স্পেন ইতোমধ্যেই তাদের নিজস্ব আলাদা ডিজাইনে একসাথে কাজ করছে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রও করে থাকে।

বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের জন্য এই চুক্তি শুধু নিরাপত্তা নয়, অর্থনীতির জন্যও। এছাড়া নতুন এই ফাইটার জেট তৈরির উদ্যোগ যুক্তরাজ্যে হাজার হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং দেশটির আরও অস্ত্র রপ্তানির দরজা খুলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিবিসি বলছে, শুক্রবার লিঙ্কনশায়ারের আরএএফ কনিংসবিতে সফরের সময় অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তৈরির প্রথম পর্ব উন্মুক্ত করবেন ঋষি সুনাক। সফরের আগে তিনি বলেন: ‘আজকের এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা ইস্যুটি এই সরকারের কাছে সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ হবে।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে