রাবিতে মাদকসহ ৪ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মাদক সেবনরত অবস্থায় মাদকদ্রব্যসহ চার ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল টিম। পরে পুলিশ বাদী হয়ে তাদের নামে নগরীর মতিহার থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।
এদের মধ্যে দুই জনকে গ্রেফতার করলেও বাকি দুই জন প্রক্টর দফতর থেকে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মাদক মামলায় চার শিক্ষার্থীর নামে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং দুইজন পলাতক রয়েছে। মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য নিজেদের হেফাজতে রাখায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ (১) সারণি ১৯ (ক)/৪১ ধারার তাদের নামে মামলা রজ্জু করা হয়।
আসামীরা হলেন- ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহীদ শামসুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের উপ-সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আরিফ বিন সিদ্দিক, একই বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান, ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী ও জিয়া হল ছাত্রলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ। তারা সকলেই হল শাখা ছাত্রলীগের পদধারী নেতা বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে সোহানুর ও রাজু প্রক্টর দফতর থেকে পালিয়ে যায়।
প্রক্টরিয়াল টিম সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে টহল দেয়ার সময় শেখ রাসেল মাঠে মাদক সেবনরত অবস্থায় আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রক্টরিয়াল টিম। এসময় তাদের কাছে ১২ প্যাকেট গাঁজা জব্দ করা হয়। পরে তাদের আটক করে প্রক্টর দফতরে আনা হলে টয়লেটে যাওয়ার নাম করে সোহানুর ও রাজু পালিয়ে যায়। পরে তাদের নামে নগরীর মতিহার থানায় মামলা করা হয়।
মাদক সেবনের বিষয়টি স্বীকার করলেও আটক ছাত্রলীগ নেতারা দাবি করেন, মাঠে বসার পর অপরিচিতি এক ব্যক্তি এসে তাদের পাশে গাঁজার প্যাকেট ফেলে যায়। তারা প্যাকেটটি হাতে নেয়ারূ পরই প্রক্টরিয়াল টিম গিয়ে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জেনেছি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি যদি তারা ছাত্রলীগের কেউ হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ক্যাম্পাসে মাদক সেবনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে প্রশাসন এবিষয়ে প্রতিনিয়ত কঠোর নজরদারি করছে। আটকৃতদেরকে আমরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আইন অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।