রাজশাহীতে বই পড়ার দাওয়াত নিয়ে অলি সাব

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২২; সময়: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে বই পড়ার দাওয়াত নিয়ে অলি সাব

নিজস্ব প্রতিবেদক : বই পড়ার দাওয়াত নিয়ে বাইসাইকেলে করে রাজশাহীতে এসেছেন সুনামগঞ্জের অলি সাব। গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ব পর্যটক তানভীর অপু ও তারেক অণুর সঙ্গে। বই পড়ার দাওয়াত নিয়ে বাইসাইকেলে করে রাজশাহীতে এসেছেন সুনামগঞ্জের অলি সাব।

বই পড়ার দাওয়াত নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচিতে ২৬তম জেলা হিসেবে রাজশাহীতে এসেছেন অলি সাব। গতকাল সোমবার সারা দিন তিনি শহরের শিক্ষার্থীদের বই পড়ার দাওয়াত দিয়েছেন। দেখা করেছেন শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে। আজ মঙ্গলবার দুপরে তাঁর নাটোরের উদ্দেশে রাজশাহী ছাড়ার কথা আছে।

গত ২০ অক্টোবর নেত্রকোনা থেকে অলি দ্বিতীয় পর্বের কর্মসূচি শুরু করেছেন। নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে গত রোববার সন্ধ্যার পর তিনি রাজশাহীতে পৌঁছান। আগামী ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে তিনি বাকি ৩৮টি জেলা সফর করবেন বলে জানিয়েছেন। তারপর এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একুশে বইমেলায় একটি বই বের করবেন। একটি প্রকাশনা সংস্থা ইতিমধ্যে তাঁর বইটি বের করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।

পড়াশোনার ফাঁকে অলি এখন বাইসাইকেল নিয়ে জেলায় জেলায় ঘুরছেন। মানুষকে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করছেন। গত ৩ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে তাঁর ‘৬৪ জেলায় বইপড়া আন্দোলন’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। অলি সাবকে নিয়ে গত ২৯ অক্টোবর প্রথম আলোর সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র ছুটির দিনে ‘অলি সাব সবাইকে বই পড়াতে চান’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এলাকায় এক বড় ভাইয়ের কাছে আছেন তিনি। গতকাল বেলা ১টার দিকে বিশ্ব পর্যটক তানভীর অপু ও তারেক অণুর সঙ্গে দেখা করেন। এ ছাড়া রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল খালেক, রাজশাহী বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান মো. মাসুদ রানা ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিয়ানের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। রাস্তাঘাটে অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বই পড়া নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার তিনি বইপড়ার একটি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

অলি সাবের বয়স এখন ১৯। কলেজে পড়েন। বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী। বাবা লুৎফুর রহমান কৃষক, মা রোকেয়া বেগম গৃহিণী। চার ভাই এক বোনের মধ্যে অলি সবার বড়। বিজ্ঞানী হতে চান অলি।

গতকাল সন্ধ্যার পরে অলি প্রথম আলোর রাজশাহী কার্যালয়ে আসেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার সাইকেল চালাচ্ছেন। ব্যবহার করছেন আট বছর আগে কেনা একটি ফিনিক্স সাইকেল। পুরোনো সাইকেল ব্যবহার করার দুটি কারণ উল্লেখ করলেন তিনি। একটি হচ্ছে, নষ্ট হলে যেকোনো জায়গায় মেকানিক পাওয়া যায়। আরেকটি হচ্ছে পুরোনো জিনিস চুরির ভয় কম। অলি সাব ঢাকা থেকে কর্মসূচি শুরু করেছেন, কক্সবাজারে গিয়ে শেষ করবেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে