পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি নব্য রাজাকার : টুকু

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২২; সময়: ১০:২৫ অপরাহ্ণ |
পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি নব্য রাজাকার : টুকু

নিজস্ব প্রতিবেদক : বর্তমানের বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নব্য রাজাকার হচ্ছে প্রশাসনের লাঠিয়াল বাহিনী, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ ওরফে টুকু। রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশ শেষে রোববার দুপুরে নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ওবাইদুর রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত।

ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে প্রশাসন দলীয়করণ হয়েছে। এই সরকার প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তান আর্মি দেশ শাসন করার জন্য কিছু অক্সিলিয়ারি (সহযোগী) ফোর্স তৈরি করেছিল। রাজাকার, আলবদর এদের তৈরি করেছিল। এখন সেই অক্সিলিয়ারি ফোর্স হয়ে গেছে এই পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি। সহজ ভাষায়, তারা রাজাকার হয়ে গেছে। বর্তমানের বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে নব্য রাজাকার হচ্ছে প্রশাসনের এই লাঠিয়াল বাহিনী।’

বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সৃষ্টি করা এই পরিস্থিতির মধ্যে গত তিন দিন আমাদের মানুষেরা কী কষ্টটাই না করেছে। এটা প্রমাণ করে বাংলাদেশে বিএনপির কর্মীরা ত্যাগ, কষ্ট স্বীকার করতে পারেন। তাঁরা রাজশাহীর বালুর মধ্যে এসে কষ্ট করেছেন। এখানে শুধু বিএনপির কর্মীরা আসেননি, সাধারণ মানুষও এসেছেন।’

মতবিনিময় সভায় দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের বাধার কারণে তিন ঘণ্টার সমাবেশ তিন দিনের হয়ে গেছে। রাজশাহীতে সারা বিভাগের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। রাজশাহীর মানুষ তাদের খাবার দিয়েছে। বিভিন্ন সমস্যায় পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের কষ্ট সবার সামনে, বিশ্বের সামনে উঠে এসেছে। অনেকেই দল করে না, কিন্তু বিএনপি কর্মীদের সহায়তা করেছে।

বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্মঘট হলে পুলিশ সেটিকে বাধা দেয়। কিন্তু এই বাস ধর্মঘটে পুলিশ ধর্মঘটকারীদের সহায়তা করেছে। তিনি বলেন, ‘খাবারসহ ট্রাক ফেরত দিয়েছে। কিন্তু ওই নেতা-কর্মীরা এসেছেন। সাধারণ মানুষ কিন্তু এগুলো দেখেছে। তাঁদের কাছে কি সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে? বরং এই সরকারের অত্যাচারী মনোভাবের নিন্দা করেছেন তাঁরা। এই ধরনের অমানবিক কাজের জন্য তাঁরা সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন। যাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁরা শুধু তাঁদেরই সমর্থন পাননি, যাঁরা আসতে পারেননি, তাঁদের সমর্থন বিএনপির প্রতি আরও বেড়েছে।’

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, এই তিন দিনের কষ্টের মধ্য দিয়ে একটা লাভ হয়েছে। বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ কাছাকাছি হলেন, পরস্পরের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সুযোগ পেলেন। বিভিন্ন অঞ্চলের সাংগঠনিক বিষয় জানতে পেল, পরিচয় হলো, এটা একটা রাজনৈতিক দলের জন্য মস্ত বড় অর্জন। সরকার যে ইচ্ছা করেই এটা করে দিয়েছে, তা নয়। সরকার ক্ষতি করার জন্য এই কাজটা করেছে। কিন্তু সেই সুযোগে বিএনপির কিছু লাভও হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে