নিয়ামতপুর আইডিয়াল স্কুল প্রতারণার আরেক নাম

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২২; সময়: ১:৪২ অপরাহ্ণ |
নিয়ামতপুর আইডিয়াল স্কুল প্রতারণার আরেক নাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, নিয়ামতপুর : শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। আমরা সবাই সেটা জানি। কিন্তু শুধু শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড সেটা পুরোপুরি সঠিক না। সুশিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। সুশিক্ষাই একজনকে তৈরী করতে পারে সুন্দর মনের মানুষ হিসাবে। গড়ে তুলতে পারে সুন্দর পরিচ্ছন্ন জীবন। সেই সুশিক্ষার অভাব রয়েছে নিয়ামতপুরপুর আইডিয়াল স্কুল কর্তৃপক্ষের। তারা শিক্ষার মত একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে অভিভাবকদের সাথে প্রতরণা চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর। মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে কমলমতি শিক্ষার্থীদে কু-শিক্ষা দিয়ে জাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এর জোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

সম্প্রতি ২০২২ সালের এসএসসি পরিক্ষা নিয়ে মিথ্যে তথ্য দিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে আইডিয়াল স্কুল তা অভিভাবক, শিক্ষার্থী তথা জাতির সাথে প্রতারণা। ২০২২ সালে আইডিয়াল স্কুল থেকে ৭৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। আইডিয়াল স্কুল একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বোর্ড কর্তৃক কোন পাঠদানের অনুমতি নাই। তাই তারা বিভিন্ন বিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে থাকে। নিয়ামতপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে আইডিয়াল স্কুল থেকে ৩২জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন।

এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখায় ২৮ জন, মানবিক শাখায় ৪জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন এবং মানবিক শাখা থেকে পেয়েছে ১ জন। বিএফসি উচ্চ বিদ্যালয় (বগধন, ফতেপুর, চৌপুকুরিয়া) থেকে আইডিয়াল স্কুল থেকে ১৬জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন। কেউ জিপিএ-৫ পাই না। বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আইডিয়াল স্কুলের ২৭ জন্য পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। এর মধ্যে ২৭ জনেই জিপিএ-৫ পেয়েছে। আইডিয়াল স্কুল থেকে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৩জন। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭৫ জন। অথচ পোষ্টার, মাইকিং করে বেড়াচ্ছে ৭৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭১ জন।

এখন সচেতন অভিভাবক ও এলাকাবাসীর প্রশ্ন কেন এতবড় প্রতারণা। তারা যদি শিক্ষা নিয়ে এতবড় প্রতারণা করে তাহলে কমলমতি শিক্ষার্থীদের তো প্রতারণায় শিক্ষা দিবে। এদের কাছ থেকে জাতি কি আশা করে।

এ বিষয়ে আইডিয়াল স্কুলের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম বলেন, প্রচারণা একটু তথ্যগত ভুল হয়েছে। আমাদের কারো সাথে প্রতারণা করার ইচ্ছে নাই। আমাদের স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৭৫জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে এর মধ্যে ৭১জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় না। আমাদের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ।

প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আমার স্কুল থেকে মোট পরীক্ষা দিয়েছে ৯৩ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখা থেকে দিয়েছে ৭৫ জন। বিজ্ঞান শাখার ৭৫ জনের মধ্যে ৭১ জন জিপিএ-৫ পেয়ে। আর বাকী ১৮ জন্য মানবিক শাখা থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। তারা কেউ জিপিএ-৫ পাইনি। আমাদের প্রচারণায় বিস্তারিত উল্লেখ করা উচিত ছিল।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে