নন্দীগ্রামে কমছে আলুর চাষ, বাড়ছে সরিষা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২২; সময়: ২:০৬ অপরাহ্ণ |
নন্দীগ্রামে কমছে আলুর চাষ, বাড়ছে সরিষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম : চলতি রবি মৌসুমে বগুড়ার নন্দীগ্রামের কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকেছেন। আলু চাষ করে টানা দুই বছর লোকসান হওয়ায় তাঁদের অনেকেই এবার সরিষার চাষ করছেন।

এছাড়া আলু চাষে যে খরচ ও পরিশ্রম হয় সে তুলনায় সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম অনেক কম হয়। তাছাড়া এখন বাজারে তেলের দাম বেশি থাকায় সরিষা চাষে লাভ বেশি হয় বলে জানান উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত রবি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষা চাষ হয়েছিল চার হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে। এবার এ পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে। গত রবি মৌসুমে তিন হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছিল। এবার ৯শো ৫৩ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে।

বাদলাশন গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন জানান, এবার ৮০ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। আর আলু চাষ করেছি তিন বিঘা জমিতে। গতবার ১০ বিঘা জমিতে আলু ছিল। আলু চাষে খরচ ও পরিশ্রম বেশি। আলু লাগানো জমিতে ইরি ধান খুব ভাল হয় না। এজন্য সরিষার চাষ বেশি করেছি। কম খরচ ও কম পরিশ্রমে সরিষায় লাভ ভাল আবার ইরি ধানও ভাল হয়। প্রতি বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে ৩৫-৩৬ হাজার টাকা খরচ হবে।

দোহার গ্রামের কৃষক শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, এবার আলু লাগাইনি। সরিষা বুনেছি আড়াই বিঘা জমিতে। গত বছর দুই বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছিলাম। ফলন ভালই হয়েছিল। দাম ভাল পাইনি। সরিষা চাষে ঝামেলা কম। ইরি ধান ঠিক সময়ে লাগানো যায়। সরিষা চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়। তাছাড়া সরিষার জমিতে ধানের আবাদও ভালো হয় এবং ইরি ধান চাষে খরচ কম হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, নন্দীগ্রামের কৃষকরা আলু চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। বেশিরভাগ কৃষক এবার সরিষার চাষ করেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ হতে কৃষকদের সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের রবি মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় এ উপজেলার মোট ৪ হাজার ৩৩০ জন কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে