আরও শক্তিশালী জার্মান সেনা চায় ন্যাটো

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২২; সময়: ১:২৯ অপরাহ্ণ |
আরও শক্তিশালী জার্মান সেনা চায় ন্যাটো

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জার্মানির রাজধানী বার্লিনে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ন্যাটো আরও শক্তিশালী জার্মান সেনা চায়।

বস্তুত, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই প্রতিরক্ষাখাতে বিপুল পরিমাণ বাজেট বাড়িয়েছিল জার্মানি। জার্মান সেনার সংস্কারের কথাও বলা হয়েছিল। জার্মানির ওই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন স্টলটেনবার্গ।

তিনি বলেছেন, ‘জার্মানি যেভাবে ইউক্রেনকে সামরিক, মানবিক এবং অর্থনৈতিক সাহায্য করছে, তা প্রশংসনীয়। ইউক্রেন যুদ্ধে জার্মানির সাহায্য কতটা সাহায্য করছে, তা আমরা দেখতে পাচ্ছি।’

ন্যাটো-প্রধানের বক্তব্য, তিনি জানেন- এই সাহায্যের জন্য দাম গুণতে হচ্ছে বিশ্বের বেসামরিক নাগরিকদের। জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। খাবার, বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ইউক্রেনের মানুষ তাদের রক্তের বিনিময়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। যার দাম অর্থ দিয়ে পরিমাণ করা যায় না। গোটা বিশ্ব এখন ইউক্রেনের পাশে না দাঁড়ালে ভবিষ্যতে আরও বড় সমস্যার সামনে দাঁড়াতে হবে।

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পরেই প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট অনেকটা বাড়িয়ে দেয় জার্মানি। সেনা সংস্কারের কথাও বলা হয়। জার্মানির এই অবস্থানকে এদিন স্বাগত জানিয়েছেন স্টলটেনবার্গ। যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক ন্যাটো সদস্য দেশ দীর্ঘদিন ধরে জার্মানিকে শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরির জন্য অনুরোধ করছিল।

সেনাখাতে অর্থ বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জার্মানি কখনোই সে পথে হাঁটেনি। জার্মানি কেবলমাত্র আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সেনা তৈরির পক্ষে অবস্থান ধরে রেখেছিল। সম্প্রতি জার্মানি সে রাস্তা থেকে সরে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বাড়িয়েছে।

ওলাফ শলৎসের ক্ষমতায় আসা এবার সহজ ছিল না। দীর্ঘ আলোচনার পর জোট সরকার তৈরি হয়েছে। কিন্তু তারপরেও শলৎস যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কারের পথে হাঁটতে পেরেছেন, তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্টলটেনবার্গ।

এদিকে কিছুদিন আগে পোল্যান্ডকে একটি প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম দিতে চেয়েছিল জার্মানি। অত্যাধুনিক এই মিসাইল সিস্টেম পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। পোল্যান্ডে ইউক্রেনের মিসাইল ভুলবশত চলে যাওয়ার পরে জার্মানি পোল্যান্ডকে এই সিস্টেম দিতে চেয়েছিল।

কিন্তু পোল্যান্ড জার্মানির কাছে আবেদন করে, তাদের বদলে ওই মিসাইল সিস্টেম ইউক্রেনকে দেওয়া হোক। ইউক্রেনও জার্মানির কাছে প্যাট্রিয়ট মিসাইল চেয়েছিল। কিন্তু ন্যাটোর সম্মতি ছাড়া জার্মানি ন্যাটোর বাইরের কোনও দেশে প্যাট্রিয়ট মিসাইল দিতে পারে না।

এদিন এবিষয়ে সরাসরি কোনও কথা বলেননি স্টলটেনবার্গ এবং শলৎস। তবে ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে