কচুয়ায় তিন বছরেও নেই সড়কের কাজের অগ্রগতি, চরম ভোগান্তিতে গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২২; সময়: ১:০০ অপরাহ্ণ |
কচুয়ায় তিন বছরেও নেই সড়কের কাজের অগ্রগতি, চরম ভোগান্তিতে গ্রামের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কচুয়া : চাঁদপুরের কচুয়ায় কাঁচা সড়ক পাকা না করায় প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কে চলাচলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েকটি গ্রামের মানুষ। উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের পূর্বকালচোঁ-দরবেশগঞ্জ স্কুল থেকে কাদলা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কের এমন বেহাল দশার কারনে চরম ভোগান্তি এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। সড়কের বেহালদশার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশে পাশের প্রায় ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী। বৃষ্টি হলেই কাদায় একাকার হয়ে যায় সড়ক। তিন বছর পূর্বে কাঁচা রাস্তা পাককরনে কাজ শুরু হলেও বর্তমানে তার কোনো অগগ্রতি নেই। এতে রাস্তার মাটি সরিয়ে ফেলায় ধুলা-বালিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ৩ কিলোমিটারের রাস্তার মধ্যে প্রথম অংশে রাস্তায় বালু দিয়ে ভরাট করলেও পুরো রাস্তায় কাজ করা হচ্ছে না।

জানা গেছে, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের পূর্বকালচো ও দরবেশগঞ্জ-কাদলা বাজার সড়কের প্রায় ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়কের কাজ শুরু হয় । সড়কটি দিয়ে ডুমুরিয়া, দরবেশগঞ্জ, কাদলা,গুলবাহার,চৌমুহনীসহ ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে। কিন্তু সড়কের বেহালদশার কারণে স্থানীয়রা অসুস্থ রোগীকেও হাসপাতালে নিতে বেগ পোহাতে হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, কাঁচা সড়কটি দিয়ে হেঁটে চলাচল ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সড়ক জুড়ে বালি আর ধুলাবালি। বৃষ্টিতে কাঁদা একাকার থাকায় যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে মানুষের চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে এলাকার হাজারো মানুষ ও আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, কৃষকরা মাঠের ফসল ঘরে তুলতে এবং উৎপাদিত শস্য এ কাঁচা সড়ক দিয়েই হাট-বাজারে বিক্রির জন্য আনা নেওয়া করেন। কাঁচা সড়কটি পাকা করা হলে এলাকার মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাগব হবে। সড়কটি দ্রুত পাকা করা অত্যন্ত জরুরি বলেও মনে করেন তারা।

যানবাহন চালকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা রাস্তাটি এভাবে পড়ে আছে,কিন্তু ঠিকাদারের গাফলতির কারনে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। এই রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন যাতায়াত করতে পারছে না। দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরনের দাবি জানান তারা।

কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার মো. সজিব হোসেন বলেন, এ কাজে ফান্ড না থাকায় বিল পাওয়া যায়নি। ফলে কাজ বন্ধ রয়েছে। কাজের বিল পেলে পূনরায় রাস্তার কাজ আরম্ভ করা হবে বলে জানান তিনি।

কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলিম লিটন মুঠোফোনে জানান, মালামালের উর্ধ্বগতির কারনে কাজ কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। ঠিকাদারের সাথে আলোচনা করে অচিরেই কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরনের কাজ শুরু করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে