পাবনায় পরিবহন ধর্মঘটে জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২২; সময়: ১:২৩ pm |
পাবনায় পরিবহন ধর্মঘটে জনদুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা : মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ সহ ১১ দফা দাবিতে রাজশাহীর ৮ জেলায় সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট পাবনায় শুরু হয়েছে। ফলে বন্ধ রয়েছে রাজশাহী বিভাগের সকল জেলার সাথে সব ধরনের যাত্রীবাহী পরিবহন। বন্ধ রয়েছে ঢাকা-পাবনার দুরপাল্লার বাসও। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

ধর্মঘটের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ জেলার সকল বাসস্ট্যান্ড থেকে কোন বাস চলতে দেখা যায় নাই। দূরপাল্লার গাড়ীর কোনও ধরনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।

সকালে পাবনার একাধিক বাসস্ট্যান্ড ঘুরে ঘুরে দেখা যায়, বাসগুলো টার্মিনালে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সাধারণ যাত্রীরা যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু কোনও ধরনের বাসের দেখা পাচ্ছে না। স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা সিএনজি অটোরিকশা কিংবা ছোট ছোট যানে রওনা দিলেও দূরের যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে।

আব্দুল মজিদ নামের ঢাকাগামী যাত্রী বলেন, ভেবেছিলাম শুধু রাজশাহী অভিমুখে ধর্মঘট হবে। কিন্তু এখন তো দেখছি ঢাকাতেও যেতে পারছি না। আজকে ঢাকায় পৌঁছাতে না পারলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বো। রাজনীতির মারপ্যাচে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের কেন এমন দুর্ভোগে পড়তে হবে? আমরা কবে এর প্রতিকার পাবো? কার কাছে পাবো?’

এদিকে ধর্মঘটকে রাজশাহীর গণসমাবেশকে ঠেকানোর জন্য সরকারের নীলনকশা ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি সিরাজ সরদার বলেন, দুই তিন বছরের শিশুও জানে সরকার ও সরকারের আজ্ঞাবহ লোকজন আমাদের ৩ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ ঠেকাতে এই পরিবহনের ডাক দিয়েছেন। এতে কোন লাভ নেই, মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছেন। কোনও বাধাই তাদের আটকাতে পারবে না। সরকারের পতন সুনিশ্চিত।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মমিন। তিনি বলেন, ১১ দফা দাবিতে আমরা পৃর্বেই আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারই প্রেক্ষিতে আমাদের এই ধর্মঘট। কারো সমাবেশের জন্য এই ধর্মঘট ডাকা হয়নি।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
topউপরে