আর যেন লোডশেডিং না হয় সেই চেষ্টা করছি: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে ব্রুনাই, কাতার ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আর যেন লোডশেডিং দিতে না হয় সরকার সেই চেষ্টা করছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীতে ডিপিডিসির আওতাভুক্ত কিছু এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বছরেও যেন লোডশেডিং না হয় সরকার সেই চেষ্টা করছে। আমরাও মনে করছি লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার যে প্রভাব সেটি অস্বীকার করার উপায় নেই। এর মধ্যেও আমরা জনসাধারণের ভোগান্তি কমাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
তিনে আরও বলেন, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে রাজধানী ধানমন্ডির বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা পুরোপুরি আন্ডারগ্রাউন্ড করা হবে। আর পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে ঢাকার বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থার বড় অংশ আন্ডারগ্রাউন্ড করা হবে।
চলতি বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া বিদ্যুতের লোডশেডিং নভেম্বরের শেষে এসে কমতে শুরু করে। বর্তমানে রাজধানীতে লোডশেডিং প্রায় নাই বললেই চলে। রাজধানীর বাইরে সারাদেশেও বিদ্যুৎ প্রায় স্বাভাবিক। যদিও শীতের পর আবারও লোডশেডিং ফিরে আসা নিয়ে শঙ্কায় সাধারণ গ্রাহকরা।
পোশাক কারখানাগুলোতেও বিদ্যুতের সংকট অনেকটা কেটেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাক কারখানায় সাম্প্রতিক সময়ে যে বিদ্যুৎ সমস্যা তৈরি হয়েছিল তার সমাধান হয়েছে। উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে কারখানায়। আশা করছি বিদ্যুতের মতো গ্যাস সংকটেরও সমাধান হবে।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে গত ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং, তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত ও সরকারি-বেসরকারি অফিসের কিছু কার্যক্রম ভার্চুয়ালি এবং সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেদিন বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ধৈর্য সহকারে এই সংকট মোকাবেলা করতে হবে। সবাইকে নিজ উদ্যোগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। পৃথিবীর অনেক উন্নত রাষ্ট্র, যাদের অনেক টাকা পয়সা আছে, তাদেরও লোডশেডিং হচ্ছে। ব্রিটেনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে, জাপানে হচ্ছে।