হাতে যতক্ষণ ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে, রাশিয়া থামবে না: জেলেনস্কি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২২; সময়: ১:৩৯ অপরাহ্ণ |
হাতে যতক্ষণ ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে, রাশিয়া থামবে না: জেলেনস্কি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে গত দুই মাস ধরে হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। এতে করে শীতের মধ্যে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন সাধারণ ইউক্রেনীয়রা। শীতের তীব্রতা বাড়ায় ও সঙ্গে বিদ্যুৎ না থাকায় শঙ্কা তৈরি হয়েছে ঠাণ্ডায় কষ্ট পাওয়াসহ অসহনীয় দুর্দশায় পড়তে পারেন তারা।

আর এর মধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্কতা দিয়েছেন, নতুন করে ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনার ওপর হামলা চালাতে পারে রাশিয়ার সেনারা। রোববার (২৭ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে এক ভিডিও বার্তায় এমন সতর্কতা দেন জেলেনস্কি।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি সন্ত্রাসীরা (রাশিয়া) নতুন হামলার পরিকল্পনা করছে। আমরা এটি নিশ্চিতভাবে জানি। দুর্ভাগ্যবশত তাদের কাছে যতক্ষণ ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে, তারা থামবে না।’

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, পেছনের সপ্তাহের মতো সামনের সপ্তাহগুলো ইউক্রেনের মানুষের জন্য কঠিন হবে। কারণ রুশ সেনাদের হামলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য জ্বালানি স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমাদের সেনারা প্রস্তুত হচ্ছে। পুরো দেশ প্রস্তুত হচ্ছে। আমরা সব পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করেছি, সঙ্গে আমাদের মিত্ররা রয়েছে।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এমন দাবির পর তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি রাশিয়া। তবে গত বৃহস্পতিবার মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রাশিয়ার দাবি মেনে নিয়ে এসব ভোগান্তির ইতি টানতে পারে ইউক্রেন।

যুদ্ধের শুরু থেকে রাশিয়া দাবি করছে, কোনো বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়নি তারা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়গুলোতে রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরের জ্বালানি স্থাপনায় তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে। এতে বেশ কয়েকজন বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

এদিকে রোববার ইউক্রেনে বড় ধরনের কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। যুদ্ধ নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি থিংক ট্যাংক জানিয়েছে, রোববার ইউক্রেন জুড়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে কাঁদা জমে যাওয়া ও তীব্র ঠাণ্ডা পড়েছে। ফলে এদিন হামলা চালানো থেকে বিরত ছিল দুই পক্ষই।

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা বিরাজ করছে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে। এখানে নিয়মিত লড়াই হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে