শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে: এমপি প্রিন্স

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২; সময়: ৯:০২ অপরাহ্ণ |
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে: এমপি প্রিন্স

এম এ আলিম রিপন, সুজানগর : পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করছেন। তার দূরদর্শী ও দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

এবং দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। বৃহস্পতিবার পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করতে পারবে না, করলেও সাধারণ মানুষ সেই সেতু দিয়ে চলাচল করবে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো এরকম প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হয়। তিনি বলেন ,আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ।

সেই নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে কে অংশগ্রহন করলো আর কে করলো না সেটা দেখার বিষয় নয়। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতা বিরোধী অশুভ রাজনৈতিক দলগুলো যদি ফের রাজপথ দখলের অপচেষ্টা করে, দেশে নতুন ভাবে নৈরাজ্য তৈরির অপচেষ্টা করে অথবা রাজপথ দখলের নামে মানুষ পোড়ানোর অপচেষ্টা করে; তাহলে তাদের দাতভাঙা জবাব দিতে হবে। এজন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের চোখ-কাল খোলা রাখতে হবে। এমপি প্রিন্স বলেন, ৭৫’এ ১৫ আগস্ট এর পর পিতা হারানোর বেদনা ও কষ্ট নিয়ে দেশের মাটিতে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

সারা বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রিয় নেত্রীকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে এসেছিলেন। সেদিন বুকভরা কষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমার জীবনে কখনও আমি ভাবি নাই রাজনীতিতে আমাকে আসতে হবে। কখনও ভাবি নাই পিতা হত্যার বিচার করতে আমার জীবন উৎসর্গ করতে হবে। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ওই খুনীদের বিচার বাংলার মাটিতে আমি করব। বলেছিলেন, আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু) যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন করতে চেয়েছিলেন, আমি তা বাস্তবায়ন করব। আজ তিনি যে স্বপ্ন নিয়ে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কোনো ষড়যন্ত্র যেনো বাঁধা হয়ে দাড়াতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার এই উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

এমপি প্রিন্স বলেন, ৭৫’এ ১৫ আগস্ট। ভোরের সূর্য তখনও আমাদের ঘরে পৌঁছায়নি। ঠিক সেই মুহূর্তে আমরা শুনেছিলাম আমাদের পিতা বঙ্গবন্ধু আর নেই। তার লাশ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে পড়ে ছিল। সেদিন ইতিহাসের রক্তাক্ত বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা আমরা দেখেছিলাম। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে বাংলাদেশের বুকে গুলি করা হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেতনাকে বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে পকিস্তানের আদলে তৈরির ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করেছিল। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। জিয়া জানতো না তাকেই নিষ্ঠুর হত্যার কাণ্ডের শিকার হতে হবে। এমন ভাগ্য বরণ করতে হবে। তার লাশও সেদিন পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় তারাবাড়ীয়া আলিম মাদ্রাসা মাঠে চরতারাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জালাল উদ্দিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম দুলালের সঞ্চালনায় সম্মেলনে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নব নির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ.স.ম আব্দুর রহিম পাকন, পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আমিনুল হক টিপু ও গোলাম রব্বানী টেগার। প্রধান বক্তা ছিলেন পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন।

বিশেষ বক্তা ছিলেন পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, রবিউল ইসলাম রবি, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী শেখ রাসেল আলী (ভি.পি মাসুদ), দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,চরতারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, কার্যকরি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বকুল খান এবং চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সুজানগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক রবিউল হক টুটুল।

অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদ, সাবেক ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাওয়াল বিশ্বাস, মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুন্নাহার রেখা, সুজানগরউপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল জলিল বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ও সুজানগর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ প্রমুখ।

সম্মেলনে স্থানীয় আ.লীগ নেতা বন্দের আলী, সাইদুল ইসলাম বাদশা,নিজাম খাঁ, আব্দুস সামাদ জানু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, রবিউল ইসলাম,ঝন্টু, কৃষকলীগ নেতা ইসলাম খা, আব্দুল হান্নান,ছাত্রলীগ নেতা নিরব সহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জালাল উদ্দিন বিশ্বাস সভাপতি নির্বাচিত হন। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় ওই পদে নতুন নাম ঘোষণা ছাড়াই সম্মেলন সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে