সিরাজগঞ্জে ৪ বছর পর হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২২; সময়: ২:৫৩ অপরাহ্ণ |
সিরাজগঞ্জে ৪ বছর পর হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : ক্লুলেস হত্যা মামলার ৪ বছর পর মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে সিরাজগঞ্জ পিবিআই।

চলতি মাসের ২০ তারিখে খুলনা থেকে হত্যা মামলার মূল আসামী রফিকুল ইসলাম হ্যাপীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে সিরাজগঞ্জ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন হ্যাপী। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পিবিআই এর পুলিশ সুপার রেজাউল করিম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মামলার বিবরণ দিয়ে জানান, ২০১৯ সালের মার্চ ১৮ তারিখে নাটোর কিষোয়ান এগ্রো লিমিটেডের ট্রাক চালক সাহাব উদ্দিন (৫০) ও হেলপার ইলিয়াস (২০) ঢাকার মেঘনা ফ্রেস কোম্পানী থেকে বিকাল চারটার দিকে ৬০ ড্রাম সুপার পাম্প তেল নিয়ে নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

পথিমধ্যে চোরাই তেল চক্রের খপ্পরে পড়ে ড্রাইভার ও হেলপার। পরে তাদের হত্যা করে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাঘাবাড়িতে ত্রিপল দিয়ে ট্রাকের ঢেকে রেখে চক্রটি ৪৪ ড্রাম তেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে শাহজাদপুর থানা পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারসহ অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধার করে। কিষোয়ান লিমিটেডের পক্ষে মামুন হোসেন বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই এর উপর ন্যাস্ত হয়।

পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক গোলাম কিবরিয়া জানান, তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে মামলাটির মূল রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক ০৫ (পাঁচ) জন আসামী গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে ১৯(ঊনিশ) ড্রাম সুপার পাম্প তেল উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের মধ্যে থেকে ০২ (দুই) জন আসামী বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও প্রদান করে।

আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার চোরাই তেল চক্রের একজনের কাছে তেল বিক্রির জন্যই ট্রাকটি নাইমুড়িতে যায়। কিন্তু আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা চক্রটি ড্রাইভার ও হেলপার জিম্মি করে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের হত্যা করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

তাদের আরও তথ্য মতে জানা যায়, এ মামলার মূল আসামী জনৈক হ্যাপী। তার বাড়ী চুয়াডাঙ্গা। কিন্তু তার প্রকৃত ঠিকানা সেই মূহুর্তে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আরও গভীর তদন্ত করে হত্যাকান্ডে জড়িত চুয়াডাঙ্গা আলোকদিয়া থানার রফিকুল ইসলাম হ্যাপীকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়।

তবে হ্যাপী ঘন ঘন স্থান পরিবর্তনের কারণে তাকে গ্রেপ্তার করতে খানিকটা সময় লাগে। সবশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০ নভেম্বর খুলনা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইতিমধ্যেই হ্যাপী স্বীকার করেছেন যে, লোহার রড দিয়ে ড্রাইভার সাহাব উদ্দীন ও হেলপার ইলিয়াসকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীও দিয়েছে সে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে