কচুয়ায় সমাজ সেবার সুবিধা পেয়ে খুশি ৩৮ হাজার সুবিধাভোগী

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২২; সময়: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ |
কচুয়ায় সমাজ সেবার সুবিধা পেয়ে খুশি ৩৮ হাজার সুবিধাভোগী

মাসুদ রানা, কচুয়া : সাদেক মিয়া। বয়স এখন নব্বই ছুঁই ছুঁই। বয়সের ভারে এখন তেমন একটা হাটা চলাফেরা করতে পারছেন না। পাচ্ছেন সরকারের বয়স্ক ভাতা। ভাতা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তিনি। তার মতো আমেনা বেগম স্বামীহারা একজন বিধবা নারী।

স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলেরা যার যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু সরকারের বিধবা ভাতা পেয়ে খুশি তিনি। টাকার পরিমান সামান্য হলেও মাস শেষে তার সংসার চলে যায়। এমন করে তাদের কষ্ট ও খুশির কথা বলেন চাঁদপুরের কচুয়ার সুধিধাভোগীরা।

জানা যায়, কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রায় ৩৮ হাজার অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাতা প্রদান করছেন উপজেলা সমাজসেবা অফিস। ফলে বয়স্ক ভাতা ১৮ হাজার ১শ ৮৩জন,বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ৮ হাজার ৩শ ৮০জন,প্রতিবন্ধী ভাতা ৯ হাজার ৮শ ৯৯ জন ও অন্যান্য ভাতা পাচ্ছে ১ হাজার ৫শ ৩৮ জন। তাছাড়া বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা ভাতা, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ভাতা,অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য বিশেষ ভাতা প্রদান সহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করছে কচুয়া উপজেলা সমাজ সেবা অফিস ।

এতে করে পাল্টে যাচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি উদ্ভাবনী উদ্যোগের মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২য় উদ্যোগ এটি। ফলে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করায় পাল্টে যাচ্ছে জীবনযাত্রার মান ও সামাজিক নিরাপত্তা।

স্থানীয় বিভিন্ন সুবিধা ভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তিন মাস পর পর সকল ভাতাভোগী মোবাইল ফাইনাসিং সিস্টেম (নগদ) এর মাধ্যমে ভাতা পেয়ে আসছেন। যা দিয়ে তাদের আর্থিক অনটন অনেকটা কমে যায় । ফলে বর্তমানে তারা অনেকটা খুশিতে রয়েছেন বলেও জানান তারা।

কয়েকজন বিধবা নারী জানান, আমরা উপজেলা সমাজ সেবা অফিস এর পক্ষ থেকে যে অর্থ পাই তা দিয়ে সামান্য হলেও সংসারের অভাব দূর হয়। যেহেতু আমাদের স্বামী নেই। অনেক কষ্ট করে সন্তানদের সাথে নিয়ে দিন পার করছি। প্রতি মাসে সরকারের দেওয়া অর্থ পেয়ে আমরা অনেক খুশি।

সুবিধাভোগী বয়স্করা বলেন, আমাদের বয়স হয়েছে। কাজ কর্ম তেমন করতে পারি না। ঔষধ কেনার টাকা নেই। সন্তানরা তাদের সংসার জীবন নিয়ে ব্যস্ত। সরকার প্রতি মাসে আমাদের জন্য ভাতা প্রদান করছে। এই টাকা আমাদের জন্য সরকারের দেওয়া আশীর্বাদ স্বরূপ কাজ করছে। টাকার পরিমাণ সামান্য হলেও এটা আমাদের জন্য অনেক কিছু ।

তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকারের কারনে আমরা বিভিন্ন ভাতা পাচ্ছি। এক সময়ে কোনো ভাতা পাইনি। বর্তমান সরকার শেখ হাসিনার কারনে আমরা বিভিন্ন সুবিধা পাচ্ছি। তারা সুবিধা পেয়ে অত্যান্ত খুশি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকার প্রতিবন্ধিতাকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার ফলে তার ইতিবাচক প্রভাব বেসরকারি উদ্যোগকে উদ্বুদ্ধ করেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। এই ভাতা প্রদান কার্যক্রমের আওতায় সুবিধাভোগীরা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই ভাতা সুবিধা ভোগ করতে পারবেন ।

এছাড়াও ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ৫০,০০০ টাকা, কর্মহীন সাধারণ মানুষকে স্বাবলম্বী করতে সুদ মুক্ত ঋন সহায়তা প্রদান সহ অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। সরকারের দেওয়া সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা সাধারণ মানুষের দোঁড়গোড়ায় পৌছে দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে