দুর্গাপুরে বিএনপির দুইশো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা 

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২; সময়: ৮:২৮ অপরাহ্ণ |
দুর্গাপুরে বিএনপির দুইশো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, দুর্গাপুর : রাজশাহীর দুর্গাপুরে ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতা কর্মকান্ড ঘটানোর অভিযোগে বিএনপির প্রায় দুই’শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ সময় অবিস্ফোরিত চার থেকে পাঁচটি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া বিপুল পরিমাণ লাঠিসোটা, হামলায় ব্যবহৃত ইটের ভাংগারী, পানির বোতল আলামত হিসেবে জব্দ করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, রোববার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুর্গাপুর ডিগ্রী কলেজ মাঠে গোপন বৈঠক করছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে ও অরাজকতা সৃষ্টি করে নাশকতা ঘটানোর জন্যই বিএনপির নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে গোপন বৈঠক করছিলো।

খবর পেয়ে থানার পুলিশ সেখানে গেলে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় তিন থেকে চারটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ। পরে সেখান থেকে অবিস্ফোরিত ককটেল, বিপুল পরিমাণ ইটের ভাংগারী, লাঠিসোটা ও পানির বোতল জব্দ করে পুলিশ।

এ ঘটনায় রোববার (২০ নভেম্বর) রাতেই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ১৫ জন ও অজ্ঞাত ১৮০ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে আসামীদের গ্রেফতার ও মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে এজাহার নামীয় আসামীদের নাম পরিচয় জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক।

দুর্গাপুর ডিগ্রী কলেজের পিয়ন কাম নৈশ প্রহরী তহির উদ্দিন জানান, কলেজের একটি কক্ষে এশার নামাজ আদায় করছিলাম। এমন সময় কয়েকবার বিকট শব্দ হয়। নামাজ শেষ না করেই মাঠের পশ্চিম পাশে গিয়ে দেখি প্রচন্ড ধোঁয়া আর লোকজন দৌড়ে পশ্চিম দিকে পালাচ্ছে। পরে জানতে পারি ককটেল বিস্ফারণের ঘটনা ঘটেছে।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটানোর জন্য দুর্গাপুর ডিগ্রী কলেজ মাঠে গোপন বৈঠক করেছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা। এমন সংবাদ পেয়ে সঙ্গীয়ফোর্স সহ ডিগ্রী কলেজ মাঠে যাওয়া হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে একটু দূরে অবস্থান নিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে কয়েকজনকে সনাক্ত করা গেছে। এমনকি স্থানীয়রাও কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

ওসি নাজমুল হক আরও বলেন, সেখানে একাধিক ককটেল বিস্ফারিত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৪/৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ লাঠিসোটা, ইটের ভাংগাড়ী ও পানির বোতল জব্দ করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এজাহার নামীয় ১৫ জন ও অজ্ঞাত ১৮০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে