রাজশাহীতে প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে নকল পণ্য বিক্রয়ের দায়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যে এ তথ্য জানান রাজশাহী জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুম আলী।
তিনি জানান, গত ০৬ নভেম্বর বাগমারা থানার ওসি রবিউল ইসলাম রাজশাহী শাহাদৎ স্টোর, ২৫৮/২৫৯ নং আর.ডি. এ (খাঁচা) মার্কেট থেকে head & shoulders ANTI-DANDRUFF SHAMPOO এবং GARNIER face wash দুইটি করে ০৪ টি মোট ১,৪৪০/ টাকায় ক্রয় করেন। পরবর্তীতে বাসায় গিয়ে head & shoulders ANTI-DANDRUFF SHAMPOO ব্যবহার করতে গিয়ে বুঝতে পারেন পণ্যটি যথাযথ নয় এবং ব্যবহার পরবর্তীতে শরীরে চুলকানি অনুভব করেন।
পণ্যটির বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বিদেশি বলে বিক্রয় করলেই পণ্যের লেবেলে আমদানিকারকের নাম, ঠিকানা, বিএসটিআই এর লোগো এবং দেশীয় মূল্যে উল্লেখ নাই। বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেয়ে ৮ নভেম্বর জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
গত ২১ নভেম্বর উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের উপস্থিতিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শুনানিতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী শাহাদৎ আলী অভিযোগ স্বীকার করায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৭ ধারায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৭৬ (৪) অনুসারে অভিযোগকারীকে আদায়কৃত জরিমানার ২৫% ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা প্রদান করা হয়।
অপরদিকে, ফয়জুল হক, সমিতির হাট, পূর্ব এনায়েত নগর, কালকিনি, মাদারিপুর অভিযোগ করেন যে, গত ১৫ এপ্রিল রুহুল আমিন প্রোপাইটার রাজশাহী এগ্রো ফেসবুক পেজ থেকে কতকগুলো গাছের চার মোট ২৫,০০০ টাকা দিয়ে ক্রয়ের অর্ডার করেন। পরবর্ততে রুহুল আমিন ৪ মাস ধরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল চারা সরবরাহ করেন না এবং কুরিয়ার চার্জ বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেয়ে ২১ আগস্ট জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
২১ নভেম্বর উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪র্থ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শুনানিতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী রহুল আমিন অভিযোগ স্বীকার করায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৭৬ (৪) অনুসারে অভিযোগকারীকে আদায়কৃত জরিমানার ২৫% ২ হাজার পাঁচশত টাকা প্রদান করা হবে। অভিযোগ নিষ্পত্তিকারী কর্মকর্তা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী।