অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এড়াতে দরকার সচেতনতা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২; সময়: ৬:০৪ অপরাহ্ণ |
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এড়াতে দরকার সচেতনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। জীবাণুসমূহ অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেই চলেছে। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হলে যেকোনো ধরনের সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়ে। এতে সাধারণ রোগেরও চিকিৎসা সম্ভব হয় না। বাড়ে মৃত্যুঝুঁকি। তাই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এড়াতে চিকিৎসক ও রোগীসহ সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদেও আরও সচেতন হতে হবে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের আয়োজনে বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘হ্যান্ডেল মাইক্রোবিয়ালস উইথ কেয়ার’- প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, আমাদের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা তৈরির বিকল্প নেই। শুধুমাত্র অনুষ্ঠানের মধ্যেই এ আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। এ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। সব মানুষকে সচেতন করার জন্য তাদের কাছে এ বিষয়ে তথ্য পৌঁছে দিতে হবে।

ফার্মেসী বিভাগের কো-অর্ডিনেটর তারান্নুম নাজের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ওসমান গণি তালুকদার। সেমিনারে আলোচক ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদ। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আশিক মোসাদ্দিক ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার সেমিনাওে বলেন, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহারে কেবল মেডিকেল পেশায় নিয়োজিত মানুষজনদেরই সচেতন হতে হবে তা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মনে উপলব্ধির জায়গাটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে উন্নতি করে নিয়ে যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে।’ ডা. আজিজুল হক আজাদ বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহারের ফলে আগামীতে মানুষের চিকিৎসা ক্ষেত্রে কতটা বিপর্যয় নেমে আসতে পারে তা সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য করে তোলাটা সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম ওসমান গণি তালুকদার বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে রোগীদের প্রতি চিকিৎসকদের সহানুভূতিশীল হতে হবে। রোগের ধরন অনুযায়ী রোগীদের ওষুধ দিতে হবে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলে সকলের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
সভায় ফার্মেসী বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ফার্মেসি বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

এর আগে সকাল সোয়া ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তালাইমারী ভবন থেকে একটি সচেতনতামূলক র‌্যালি শুরু হয়ে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক হয়ে কাজলা ভবনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে