নাটোরে কড়া নিরাপত্তায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যকে আদালতে হাজির

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২২; সময়: ৫:৪৩ অপরাহ্ণ |
নাটোরে কড়া নিরাপত্তায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যকে আদালতে হাজির

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : ঢাকার একটি আদালত থেকে দন্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার একদিন পরই নাটোর আদালতে একটি মামলার হাজিরা ও স্বাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আরিফুল ইসলাম আরিফ নামে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়।

সোমবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় নাটোর জেলা কারাগার থেকে তাকে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছাঃ কামরুন্নাহার বেগমের আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক আদালতে হাজিরা ও স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামি ৩০ নভেম্বর হাজিরার পরবর্তি তারিখ ধার্য্য করে আরিফুল ইসলামকে পুনরায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আরিফুল ইসলাম আরিফ বড়াইগ্রাম উপজেলার খর্দ্দকাছটিয়া এলাকার শুকচান আলীর ছেলে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আইন শৃংখলা বাহিনী জানতে পারে সদর উপজেলার কৈগাড়ি কৃঞ্চপুর এলাকার আইডিয়াল পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের সামনে পুকুর পাড়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা রাষ্ট্র বিরোধী মিটিং করছে। র‌্যাব-৫ এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পিছন দিক দিয়ে সবাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও আরিফুল ইসলাম আরিফকে একটি কাপড়ের ব্যাগ সহ গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে তল্লাশী করে তার কাছ থেকে পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলি ও উগ্রবাদি বই উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর দিন নাটোর সদর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আরিফুল ইসলাম আরিফ সহ অজ্ঞাতনামা ৭জনকে আসামি করে একটি মামলা রুজু করে র‌্যাব। এই মামলায় আজ সোমবার আরিফুল ইসলামকে স্বাক্ষ্য গ্রহনের জন্য নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির করা হয়। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আরিফকে কড়া নিরাপত্তা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে আনসারল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য আরিফুল ইসলাম আরিফকে নাটোর আদালতে তোলার আগে থেকেই আদালত চত্বর সহ আশে পাশের এলাকায় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সর্তক অবস্থায় রাখা হয়। আদালত চত্বর সহ এজলাস ভবনের আশেপাশে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত থাকতে দেখা যায়। এছাড়া আরিফকে কারাগার থেকে আনা নেয়ার পথেও আইন শৃংখলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যদের সর্তক অবস্থায় দেখা যায়।

নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, আনসারুল্লাহ সদস্যকে আাদালতে নেয়ার আগে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। পুলিশ,গোয়েন্দা পুলিশ সহ আইন শৃংখলা বাহিনী সব উইনটের পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত করা হয়।রোববার সকাল থেকেই আদালত চত্বর এলাকায় ব্যাপক ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া কারাগার থেকে আদালতে আনানেওয়ার পথেও আইন শৃংখলা বাহিনী সাদা পোশাকধারী সদস্যকে নিয়োজিত করা হয়। কোন ধরনের অনাকাংখিত ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে খেয়াল রেখে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে