বাঘায় মেয়র প্রার্থী মামুনের প্রচারণা 

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২; সময়: ১২:২৯ অপরাহ্ণ |
বাঘায় মেয়র প্রার্থী মামুনের প্রচারণা 

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাঘায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মামুন হোসেন ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঠ গোছাচ্ছেন ভোটারদের নানান রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে। ইতিমধ্যে তিনি বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিন-রাত জনগনের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দোয়া চাচ্ছেন।

বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন তার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের তৃণমূলের সকল এলাকায়, হাঁটে বাজারে সকল শেণী পেশা মানুষের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের বুঝায়ে যাচ্ছেন সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়নে যোগ্য নেতৃত্বের অনেক প্রয়োজন । এছাড়াও সরকার দলীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চারঘাট বাঘা (রাজশাহী- ৬) আসনের সাংসদ আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম এমপি, তৃণমূলের নেতা-কর্মীসহ দলের হাই কমান্ডে যোগাযোগ চালাচ্ছেন।

রাজনৈতিক ভাবে মামুন হোসেন সম্পর্কে জানা যায় , মামুন হোসেন ২০০১-২০০৪ ইং বাঘা শাহদৌলা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, ২০০৩-২০১১ ইং রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সম্মানিত সদস্য, ২০০৪-২০১১ ইং বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০১৪ইং থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

এছাড়াও বর্তমানে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য তিনি। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ক্রীড়াবিদ। মামুন হোসেন বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা কালীন সময়ে ছাত্রদল ও ছাত্র শিবির কর্তৃক একাধিকবার প্রাণ নাশের হুমকি ও হামলার স্বীকার হয়েছেন।

বি.এন.পি জামাত জোট সরকারের আমলে ১৮টি মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছেন, অপারেশন ক্লিন হার্ট এর সময় নির্যাতন ও পরিবারের নারীসহ পরিবারের সকল সদস্যেদের উপর অমানবিক নির্যাতন হয়েছে, জামাত, বি.এন.পি জোট সরকারের আমলের পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দীর্ঘ সাত বছর বাড়ি ছাড়া, জামাত বি.এন.পি সরকারের আমলে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্যের মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়, বি.এন. পি জামাত জোট সরকারের আমলে র‍্যাব বাহিনী গঠন করার পর বার বার তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়, চার দলীয় জোট সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন চলাকালীন সময়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে যোগদান করেন এবং প্রোগ্রাম চলাকালীন সময়ে কলেজিয়েট স্কুলের সামনে ছাত্রদলের সুইট বাহিনীর হামলায় সামনা সামনি হলে সবাই মিলে মারপিট করে এবং এক পর্যায়ে সুইটের হাতে থাকা বন্ধুকের বাট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে।

সে অজ্ঞান হয়ে গেলে মৃত ভেবে রাজশাহীর মনি চত্বরের পাশের ড্রেনে ফেলে যায়। এরপর রাজশাহী জেলার সহ সভাপতি আমানুল হাসান দুদুর হস্তক্ষেপে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার চিকিৎসা শুরু হয় এবং মাথায় ২৮টি সেলাই লাগে এবং সেখানে ভর্তি হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসা গ্রহন করে। ওয়ান এলিভেন এর সময় পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর নির্যাতনে মাঠে ঘাটে, আম বাগানে রাত্রী যাপন করছেন, প্রতিদিন নেত্রীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন, মিছিল, মিটিং অব্যাহত রেখেছিলাম, রাজাকার সাঈদীর মামলার রায়ের দিন জামাত শিবির পরিকল্পিত ভাবে মামুন ভাবে তার বড় ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে চুরি ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।

তারপর বাজারের জনগন, দোকানদার এবং কুলি লেবার ও দলীয় নেতা কর্মী ও সাধারণ জনগনের সঙ্গে সংঘাত হলে একজন শিবির ক্যাডার নেতা নিহত হয় এবং অনেকে আহত হয়। জামাত মিথ্যা মামলা করে। পরবর্তিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব চিকিৎসা তহবিল হইতে ৭০,০০০/- টাকা চিকিৎসার জন্য অনুদান দিয়ে থাকেন। ৫ই জানুয়ারী নির্বাচনের আগে জামাত ও বি.এন.পির সন্ত্রাসী বাহিনীরা তার বাড়ি ঘেরাও করে ককটেল, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে এবং বাড়ির দরজা জানালার গ্লাস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ যাবতীয় ভাংচুর ও লুটপাট করে।

জামাত বিএনপি সরকারের সময়ে প্রয়াত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আব্দুল জলিল সাহেব জামাত বিএনপি জোট সরকারের পতনের আল্টিমেটাম দিলে ঐদিন রাতে পুলিশি অভিযানে সে সহ তার ১৩জন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা গ্রেপ্তার হোন এবং তাকে ১নং আসামী করা হয়। থানা হাজতে পার্শ্ববিকও অমানসিক নির্যাতনের স্বীকার হয় ও ১৮ দিন যাবৎ কারা বরণ করতে হয়।

এদিকে মামুন হোসেন বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ গ্রহণ করেন। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, এতিমখানায় প্রতি বছর অনুদান , বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এবং তরুন সমাজের মাঝে খেলাধুলার বিভিন্ন সামগ্রী, বিভিন্ন গরিব, দুঃখী, দুঃস্থ মানুষের ছেলে মেয়েদের বিবাহের জন্য আর্থিক সহযোগিতা, গরিব দুঃখী অসহায় রোগীদের জন্য চিকিৎসা বাবদ নগদ অর্থ নিজ তহবিল হইতে দিয়ে থাকেন।

বাঘা উপজেলাসহ লালপুর, গোপালপুর, পুঠিয়া উপজেলার বেকার যুবকদের মৎস্য চাষে উৎসাহিত করা, প্রশিক্ষন দেওয়া ও নিজ প্রতিষ্ঠানে কাজের ব্যবস্থা করা, সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে প্রতি বছর শাড়ি, লুঙ্গি ও শীতের সময় শীতের বস্ত্র বিতরণ, লক ডাউন চলাকালীন সময়ে জননেত্রীর নির্দেশনাক্রমে নিম্নবৃত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সহ খাবার ও নগদ অর্থ বিতরণ এবং মাস্ক ও সেনিটাইজার সরবরাহ, বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার ধর্মপ্রান মুসল্লিদের ব্যবহারের জন্য সাবান, হেন্ড ওয়াশ, হেন্ড

সেনিটাইজার বিতরণ করেছেন তিনি।

বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র প্রার্থী মামুন হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করি। আমি আমার জীবন দশায় কোনদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সীদ্ধান্তের বাইরে যাইনি। বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পৌরসভার সকল ওয়ার্ডের নেতা কর্মীদের নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।

এবার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি। আমার ত্যাগ ও নিষ্ঠার বলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতিক দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ভোট করার সুযোগ দিবেন বলে আশা করছি।

তিনি আরো বলেন, আমার বিশ্বাস বাঘা পৌর বাসি আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন বলেও আমি মনে করছি। আমি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হলে পৌববাসির সেবার মাধ্যমে ন্যার্য অধিকার ফিরিয়ে দিবো। জনগনের কল্যানে সকল কিছু বিলিয়ে দিবো, কোন প্রকার সুযোগ সুবিধার অনিয়ম হতে দিবোনা। আমার লক্ষ্যই থাকবে সকলকে নিয়ে বাঘা পৌরসভার সার্বিক উন্নয়ন করার।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে