ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতিতে ‘হ্যালো পার্টি’

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২; সময়: ১২:০৮ অপরাহ্ণ |
ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতিতে ‘হ্যালো পার্টি’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড নিয়ে অভিনব প্রতারণায় নেমেছে একটি জালিয়াত চক্র। কাস্টমার কেয়ারের নম্বর ক্লোন করে ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয়ে গ্রাহকের কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা।

আর এসব চক্রের প্রধান ফরিদপুরের ভাঙ্গার কালামৃধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রেজাউল মাতুব্বর। চক্রটির প্রধানসহ চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, এরা সবাই হ্যালো পার্টির সদস্য।

ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয়ে গ্রাহককে ফোন দিয়ে ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত তথ্য নেয়ার নামে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড। একবার পাসওয়ার্ড দেয়া মানেই প্রতারকের খপ্পরে পড়া। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত প্রতারণার নতুন কৌশল এটি। আর এ কৌশলের উদ্ভাবক ফরিদপুর ভাঙ্গার হ্যালো পার্টি। এ পার্টির চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে এসেছে কীভাবে তারা বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহককে বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রথমে তারা ফোন দেয় গ্রাহককে। বিশেষ অ্যাপস ব্যবহার করে কাস্টমার কেয়ারের নম্বর ক্লোন করে ফোন দেয়া হয়। কার্ড যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে, তাই সচল রাখতে চাওয়া হয় কার্ডের তথ্য। কার্ড হোল্ডারের নাম-ঠিকানা সবই তাদের জানা থাকে। ফলে খুব সহজে বিশ্বাস করেন গ্রাহকও। পুলিশ বলছে, ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ আছে এসব প্রতারকের।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সময় সংবাদকে জানান, ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা তাদের (প্রতারকচক্র) কার্ড সরবরাহের কাজটি করে থাকে। অথবা বড় বড় শোরুম রয়েছে সিঙ্গার, ওয়ালটন বা বড় বড় কোম্পানি তাদের ম্যানেজারের কাছে তাদের অফিসের বস সেজে কার্ডের তথ্য তারা নিয়ে নিচ্ছে।

গ্রেফতার হওয়া চারজনের মধ্যে রেজাউল মাতুব্বর ভাঙ্গার ১০নং কালামৃধা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। কার্ড জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা তিনি। ১৭ বছর ধরে প্রতারক চক্রের নিয়ন্ত্রণ তার হাতে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বর্তমানে চেয়ারম্যান রেজাউল মাতুব্বরের নেতৃত্বেই চলে এ কাজটি। এক সময় মেম্বার ছিল এবং তার বাড়িতে বসেই ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের জালিয়াতির কাজটি হয়।

তবে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের কোনো তথ্য কাউকে শেয়ার না করার পরামর্শ পুলিশের।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে