শিক্ষা সনদ ফিরে পেতে আদালতের আশ্রয়

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২; সময়: ৬:৪৫ অপরাহ্ণ |
শিক্ষা সনদ ফিরে পেতে আদালতের আশ্রয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর : নাটোরের গুরুদাসপুরে চাকরি নেওয়ার সময় নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠানে জমা রাখা শিক্ষা সনদপত্র ফিরে পেতে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন এক ভুক্তভোগী। তার নাম সুপ্রকাশ পাল। পৌরশহরের বীরমুক্তিযোদ্ধা সত্য রঞ্জন পালের ছেলে তিনি।

১৯ অক্টোবর নাটোর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নম্বর ৫০৭ পি/২২) সুপ্রকাশ পাল। মামলায় সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ রেজোয়ানসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শিক্ষা সনদপত্রগুলো উদ্ধারে গত ৬ নভেম্বর সার্চওয়ারেন্ট দিয়েছেন থানা পুলিশকে। একই সাথে মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আগামী ২২ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন তথ্যটি নিশ্চিত করে জানান, ‘আদালতের আদেশটি বাস্তবায়নে গত ৯ নভেম্বর থেকে নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠানের ৫টি দপ্তরে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে শিক্ষা সনদগুলো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

ভুক্তভোগী সুপ্রকাশ ও আদালতের নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০ বছর আগে সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থায় শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। যোগদানের সময় এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স ও মাস্টার্স পাসের মূল সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্র জমা রাখে নিয়োগ দানকারী প্রতিষ্ঠান।

সর্বশেষ পদোন্নতি পেয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর আঞ্চলিক অফিসে কর্মরত ছিলেন সুপ্রকাশ পাল। ২০২২ সালের ২৭ মার্চ ব্যক্তিগত কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন তিনি।

এজন্য বিধিমেনে প্রতিষ্ঠানটির প্রোগ্রাম হেড কোয়াটারে নির্বাহী পরিচালকের কাছে অব্যাহতিপত্র জমা দেন সুপ্রকাশ পাল।

ভুক্তভোগী সুপ্রকাশ পাল অভিযোগ করে আরও বলেন, অব্যহতিপত্র জমা দেওয়ার পর বেতনভাতা বাবদ প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৮ লাখ ৫১৭ টাকা প্রাপ্য হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বকেয়া টাকা পরিশোধ না করে তার শিক্ষা সনদপত্রগুলো আটকে রাখেন নিবার্হী পরিচালক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ রেজোয়ান।

দীর্ঘ সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে বকেয়া বেতনভাতার টাকা না পাওয়াসহ শিক্ষা সদনপত্রগুলো আটকে রাখায় অমানবিক জীবন যাপন করছেন তিনি। এ নিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে দেনদরবার করেও ব্যর্থ হয়ে আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান সুপ্রকাশ পাল।

এ ব্যাপারে সিধুলাই স্বর্নিভর সংস্থার নিবার্হী পরিচালক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ রেজোয়ান শনিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে দাবি করে বলেন, ‘৮ লাখ নয়, ৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা প্রাপ্য রয়েছেন সুপ্রকাশ পাল। শিক্ষা সনদপ্রত্রগুলো জমা রাখার অভিযোগটি সত্য নয়।

এ নিয়ে মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করে ছিলেন তিনি। কিন্তু তথ্য-প্রমাণের অভাবে সেই অভিযোগটি খারিজ হয়ে যায়। তাছাড়া আদালতের সার্চ ওয়ারেন্টে দাবিকৃত আলামত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে