প্রতিদিন মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২; সময়: ৩:০৮ অপরাহ্ণ |
প্রতিদিন মিলবে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সিলেটের বিয়ানীবাজারের গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত একটি কূপে গ্যাস মজুদের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। বৃহস্পতিবার সকালে মজুদের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার বার্তা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) মালিকানাধীন গ্যাসক্ষেত্রটির ১ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার

কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রায় ছয় বছর ধরে ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ ছিল। এসজিএফএল সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে দুটি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ১৫ বছর পর কূপ থেকে পানি ও বালু উঠে আসা শুরু হলে ২০১৪ সালে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুই বছর পর ২০১৬ সালের শুরুতে ফের উৎপাদন শুরু হলেও বছরের শেষের দিকে একই কারণে ফের বন্ধ করে দিতে হয়। এরপর থেকে গ্যাসকূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। সম্প্রতি সরকার গ্যাস অনুসন্ধানের দিকে বিশেষ নজর দিলে বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের ১ নম্বর কূপ নিয়ে ফের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। এতে কূপটিতে গ্যাস প্রাপ্তির আবারও সম্ভাবনা দেখা যায়। পরে চলতি মাসের ১০ সেপ্টেম্বর পরিত্যক্ত কূপটিতে ফের খনন কাজ শুরু করে বাপেক্স। খনন কাজের শুরুর সময় সংশ্লিষ্টরা ওই কূপে ৭ মিলিয়ন বা ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস মজুদ থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহিনুর ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘শিগগিরই কূপটি থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে। খনন শুরুর আগে ডিপিপিতে ধরা হয়েছিল কূপটি থেকে প্রতিদিন ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে। তবে এখন মনে হচ্ছে আরও বেশিই পাওয়া যাবে।’

তিনি জানান, এসজিএফএলের অধীনে বিয়ানীবাজারের কূপ ছাড়াও গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা-৮ ও গোয়াইনঘাট-১০ নম্বর কূপ খনন এবং রশিদপুরে একটি পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষে এসজিএফএলের গ্যাস উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া দুটি প্রকল্পের আওতায় বিয়ানীবাজার ফিল্ড এবং ব্লক-১৩ ও ১৪-এর আওতায় ডুপিটিলা, বাতচিয়া, হারারগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও সিলেট সাউথে ত্রিমাত্রিক সিসমিক জরিপ কাজ সম্পন্নের পথে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীনে আরও কূপ খননের কাজ চলছে জানিয়ে এ প্রকৌশলী বলেন, ‘এতে ২০২৩ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। সব প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ২০২৫ সালের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড থেকে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, দেশের গ্যাসের সবচেয়ে বড় মজুত সিলেটে। ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর আবিষ্কৃত হয় আরও বেশ কিছু গ্যাসক্ষেত্র। দেশে বর্তমানে ২৮টি আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বর্গফুট (টিসিএফ)। আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে