কচুয়ায় জলাবদ্ধতায় বিপাকে কৃষক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২; সময়: ৫:৫২ অপরাহ্ণ |
কচুয়ায় জলাবদ্ধতায় বিপাকে কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, কচুয়া : চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঘুরগার বিলের মাঝ দিয়ে সাচার হতে চান্দিনা উপজেলার কংগাই পর্যন্ত ক্ষিরাই নদীর (ছোট নদী) পাড় দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।

অপরদিকে বিলের কচুয়া অংশে প্রায় মাঝামাঝি অবস্থানে ওই ক্ষিরাই নদীর সাথে সংযোগ ছিল রাগদৈল খাল।

কিন্ত সংযোগ স্থলের মুখে মাটি দ্বারা ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করায় এখন আর রাগদৈল খাল দিয়ে ঘুরগার জলার উত্তর পশ্চিম অংশের পানি ক্ষিরাই নদীতে প্রবেশ করতে পারছে না। এতে করে ঘুরগার জলার উত্তর পশ্চিম অংশে প্রায় ২ হাজার একর ফসলি জমি জলাবদ্ধতার কবলে।

জলাবদ্ধতার কবলে পড়া অংশে চলতি রবি মৌসুমে আলু, সরিষা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, ভুট্টা ইত্যাদি ফসলের আবাদ করা সম্ভব হয়ে উঠবে না বলে জানান কৃষকরা।

কৃষকরা জানান, প্রায় ২ হাজার একর জমি থেকে পানি না নামায় আমরা চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। ইতিমধ্যে রবি মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে আলু চাষ শুরু হবে।

কিন্তু ঘুরগার বিলের রাস্তার অপর অংশের জমির পানি নিঃষ্কাষনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি নামতে পারছে না। দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা।

স্থানীয় অধিবাসী দুলাল মিয়া, আলমগীর দুদু মিয়া, শহীদ ও বজলুর বলেন, ক্ষিরাই নদীর সাথে সংযুক্ত রাগদৈল খালের মুখে রাস্তা করার দরুন পানি সরতে না পারায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসলি জমিগুলো অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে।

এ অবস্থায় রাগদৈল খালের মুখে একটি ব্রীজ নির্মাণ করলে রাগদৈল খালের ঐতিহ্য ফিরে পাবে। পাশাপাশি জলাবদ্ধতার হাত থেকে ২ হাজার একর ফসলি জমি আবাদ করা যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোফায়েল হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন করতে পারলে স্থানীয় কৃষকরা প্রায় ২ হাজার একর জমিতে চাষাবাদ করতে সক্ষম হবে। আমি বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছি। শীঘ্রই এই সমস্যাটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো।

ইউএনও নাজমুল হাসান বলেন, জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারণ অনুসন্ধান করে জলাবদ্ধত দূরীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে