চার বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি সুন্দরী খালের ব্রিজ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২; সময়: ২:৪১ অপরাহ্ণ |
চার বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি সুন্দরী খালের ব্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কচুয়া : চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কাদিরখিল-প্রসন্নকাপ গ্রামের মধ্যস্থলে সুন্দরী খালের উপর নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজ চার বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ফলে ওই অঞ্চলের ১০ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ যাতায়াতের চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

প্রতিনিয়ত ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত এ পথে। কিন্তু ব্রীজের কাজ সম্পূর্ন না হওয়ায় খেয়া দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হতে এলাকাবাসীর। বিশেষ করে কলেজ,মাদ্রাসা,বিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ১০ টাকা করে খেয়া পার হতে হয়। এতে করে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে জিসিবি-৩ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এ ব্রিজের নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি।

নির্মানের পর কাজ শুরু হলেও গত ৪টি বছর পেরিয়ে যায়, তবে এখনো কাজের ৬০ ভাগ হলেও বাকী ৪০ ভাগ কাজ হয়নি। বিশেষ করে ঠিকাদার প্রথম দিকে কাজের অগ্রগতি দেখালেও বর্তমানে তিনি তালবাহান করে কাজ করছেন না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজালাল সিকদার,অধিবাসী আলম,তসনিম সিকদার,মোস্তফা কামাল ও রফিক সিকদার সহ একাধিক লোকজন জানান,ব্রিজ নির্মানের সময় পেরিয়ে গেলেও কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার এমএস শাকিল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আহসান হাবিব অরুনের গাফলতির কারনে নির্মাণের কাজ শেষ হচ্ছে না। ফলে বিভিন্ন বিদ্যালয়,ব্যবসায়ী,সাধারন মানুষ চলাচলে ভোগান্তিতে রয়েছেন। দ্রুত সুন্দরী খালের উপর ব্রীজটি নির্মানের দাবি জানান তারা।

শিক্ষার্থী জিহাদ হোসেন, আর রাফি, নাজিম হোসেন সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা বলেন, ব্রিজের পাশেই আমাদের বাড়ি ও প্রতিদিন বিদ্যালয়ে ১০ টাকায় নৌকা দিয়ে খেয়া পাড় হয়ে যেতে ও আসতে হয়। ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণ হলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। তারা বলেন, ব্রিজের কারনে আমরা পুরো বর্ষা মৌসুম সহ অন্যান্য সময়ে যাতায়াতে অনেক কষ্ট পেতে হয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, ব্রিজটি ২০১৮ সালের প্রথম দিকে নির্মানের কাজ শুরু হয়েছিল। তবে বর্তমানে কী কারনে নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে আছে তা আমার জানা নেই। তবে দ্রুত ব্রীজ নির্মানে উপজেলা প্রকৌশলী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার আহসান হাবিব অরুন বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে রয়েছি। তিনি আরো বলেন, করোনা ও মালামালের দাম দ্বিগুন হওয়ায় কাজ কিছুদিন বন্ধ ছিল। তবে অচিরেই সুন্দরী খালের উপর ব্রীজটির কাজ করা হবে এবং দ্রুত সম্পূর্ন করা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলীম লিটন বলেন, করোনা ও অন্যান্য কারনে ব্রিজ নির্মান কাজ কিছুটা বিলম্বতি ছিল । ঠিকাদারে সাথে কথা বলে ব্রিজ নির্মানের কাজ পুনরায় নির্মান কাজ আরম্ভ হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে