জাসদ জমি চাষ করেছে, ফসল কেটে নিয়ে গেছে অন্যরা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২২; সময়: ১:২২ অপরাহ্ণ |
খবর > মতামত
জাসদ জমি চাষ করেছে, ফসল কেটে নিয়ে গেছে অন্যরা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মহিউদ্দিন আহমদের বিশেষ সাক্ষাৎকার
৬ নভেম্বর রাতে সৈনিকরা ব্যারাক থেকে বেরিয়ে আসে। এর মধ্যে কিছু লোক ছিল জাসদের। অধিকাংশ ছিল জিয়ার পক্ষের লোক। এখানে ফারুক-রশীদ-মোশতাকের পক্ষের লোকও ছিল- এক সাক্ষাৎকারে ৭ নভেম্বরের ঘটনা এভাবেই তুলে ধরেছেন ইতিহাস গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাহাত মিনহাজ

রাহাত মিনহাজ: জাসদ একটি রাজনৈতিক দল। ৭ নভেম্বর বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার ওপর ভর করে দলটি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার চেষ্টা করল। একটি রাজনৈতিক দলের জন্য বিষয়টি কতটা যৌক্তিক ছিল?

মহিউদ্দিন আহমদ: আমরা যদি বিপ্লবের সোভিয়েত মডেলকে সামনে রাখি তা হলে দেখতে পাই রাশিয়ান আর্মিতেই কমিউনিস্ট পার্টির টাস্ক ছিল। তাদের একটি বড় অংশের অংশগ্রহণ ছিল ১৯১৭ সালের সেন্ট পিটার্সবার্গের অভ্যুত্থানে। সেখানে যে অভ্যুত্থান হলো সেটাকে আমরা অক্টোবর বিপ্লব বলি। এর মূলে ছিল সৈনিকরাই। সুতরাং আপনি যদি বিপ্লবের চিন্তা করেন, তখন প্রথাগত সংবিধান, আইন কী বলে, সেটার ধার ধারবেন না, এটাই স্বাভাবিক। জাসদ নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করবে এবং ক্ষমতাসীনদের উৎখাত করবে। দলটি সেভাবেই সক্রিয় ছিল।

রাহাত মিনহাজ: বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে অনেক আলোচনা আছে। ওই সময়ে সেনানিবাসের ভেতরে যে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল সেজন্য অনেকে এই সংস্থাকে দায়ী করেন।

মহিউদ্দিন আহমদ: বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার ব্যাপারে আমি একটি তথ্য দিই। এটা কিন্তু জাসদ তৈরি করেনি। ১৯৭২ সাল থেকেই সৈনিকদের একটি সংস্থা ছিল। এটি করেছিল জেসিও ও এনসিও। তাদের যারা নেতা ছিলেন তারা জাসদের সভাপতি মেজর জলিলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মেজর জলিল তাদের সহযোগিতা দেবেন বলে আশ্বাস দেন। এটি কিন্তু জাসদের সাংগঠনিক কাঠামোর বাইরে। মেজর জলিল ১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ আটক হলে তিনি তাদের বার্তা দেন, ‘তোমরা কর্নেল তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগ কর।

তখন এটি কর্নেল তাহেরের কাছে আসে। সুতরাং সৈনিক সংস্থা জাসদের কোনো সংগঠন ছিল না। আমি বলব বিপ্লবী গণবাহিনী কিন্তু জাসদের ঔরসজাত একটি সামরিক সংগঠন। অন্যদিকে সৈনিক সংস্থাটি ছিল অনেকটা সেনাবাহিনীর ভেতরে ট্রেড ইউনিয়ন ধাঁচের। এটিকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন জাসদ নেতৃত্ব বা তাহের। তবে সেটি আর হয়ে ওঠেনি। কারণ অধিকাংশ বেঙ্গল রেজিমেন্টের খুব অল্পসংখ্যক সমর্থক ছিল তাহেরের। ৭ নভেম্বরে তারা ছিল মূলত জিয়াউর রহমানের পক্ষের লোক।

রাহাত মিনহাজ: ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থান কীভাবে সংঘটিত হলো? কে কার পক্ষে কাজ করল? শোনা যায়, অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিল বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা।

মহিউদ্দিন আহমদ: ৭ নভেম্বর ক্ষমতার ভারসাম্য একদিক থেকে অন্যদিকে চলে যায়। এখানে ত্রিমুখী একটা ব্যাপার ছিল। জিয়া-খালেদ-তাহের। তাহের তো সেনাবাহিনীর কেউ না। কিন্তু তার পেছনে একটি রাজনৈতিক শক্তি ছিল, জাসদ। জাসদ রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু জাসদের পরিকল্পনায় বাদ সেধেছেন খালেদ। ওই প্রশ্নে জিয়ার সঙ্গে তাহেরের একটি সমঝোতা হয়। খালেদের পতনের পর জিয়া ও তাহেরের সমঝোতা টেকেনি। আরেকটি বিষয়, ৩ নভেম্বর জিয়াউর রহমানকে অন্তরীণ করেছে ৪৬ ব্রিগেডের অফিসার আর সৈনিকরা। তারা দুটি কাজ করেছে।

এক. জিয়াকে নিষ্ক্রিয় করেছে, অন্তরীণ করেছে, কিন্তু জেলখানায় ঢুকিয়ে রাখা হয়নি। তিনি তার বাড়িতেই ছিলেন। তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, এটা আমি মনে করি না। তিনি যে একেবারেই যোগাযোগহীন ছিলেন, এটাও আমি বলব না। কারণ পরে কর্নেল তাহের দাবি করেছেন, জিয়ার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল। জিয়া তাহেরকে বলেছেন, তোমরা একটা কিছু কর। কিন্তু তখন খালেদের বিরুদ্ধে এবং জিয়ার পক্ষে বিভিন্ন সেনানিবাস থেকে লোকজন ঢাকার পথে রওনা দেয় দেয়, এমন অবস্থা। বিভিন্ন জায়গায় বিদ্রোহ হচ্ছে। কোথাও খালেদের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না।

এ বিষয়টি খালেদের চিন্তাতেই ছিল না। ৬ নভেম্বর রাতে সৈনিকরা ব্যারাক থেকে বেরিয়ে এল। অস্ত্রখানা থেকে অস্ত্র নিয়ে ঠুসঠাস শুরু করল। এর মধ্যে কিছু লোক ছিল জাসদের। অধিকাংশ ছিল সেনাবাহিনীর, জিয়ার পক্ষের লোক। এখানে ফারুক-রশীদের পক্ষের লোকরাও ছিল। মোশতাকের পক্ষের লোকও ছিল। ১৫ আগস্টের কুশীলবদের একজন ছিলেন সাব মেজর মহিউদ্দীন। তিনি কিন্তু ৪ নভেম্বর ব্যাংককে যাননি। দেশে থেকে গিয়েছিলেন। তিনি জিয়াকে নিয়ে রাত দুইটা-আড়াইটার দিকে ক্যান্টনমেন্টে সেকেন্ড ফিল্ডের অফিসে আসেন। সেখানে অন্য অফিসাররা আসে। বলা যায় ৭ নভেম্বর রাত দুইটার দিকে (৬ নভেম্বর দিবাগত রাত) জিয়া মুক্ত হন। ঘণ্টাখানের মধ্যেই তিনি তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হন।

রাহাত মিনহাজ: অভ্যুত্থানে খালেদ-হুদা-হায়দারকে হত্যা করা হলো। এই হত্যাকাণ্ডের এখনো কোনো কূলকিনারা হয়নি। তাদের কে বা কারা হত্যা করল?

মহিউদ্দিন আহমদ: ৭ নভেম্বর তিনজন নিহত হয়েছেন। খালেদ-হুদা-হায়দার। আমি বলি তারা যদি বেঁচে যেতেন সেটা আশ্চর্যজনক হতো। কারণ অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে তার পরিণতি সচরাচর এ রকমই হয়। তাদের কে মেরেছে- এটা নিয়ে রাজনীতি হতে পারে। কেউ কেউ মনে করেন জিয়া মেরেছে। কিন্তু এটি প্রমাণিত না। আপনি যতগুলো বই পড়বেন, কোথাও কিন্তু পাবেন না যে, জিয়ার নির্দেশে তাদের মারা হয়েছে। তাহলে কে মারল তাদের? আমি এর জন্য মেজর হাফিজের একটি বই (সৈনিক জীবন: গৌরবের একাত্তর, রক্তাক্ত পঁচাত্তর) পড়তে বলব। কে মেরেছে, কারা মেরেছে, কার নির্দেশে তারা মারা গেলেন- সেটার আবছা একটি ইঙ্গিত মেজর হাফিজের বইয়ে দেয়া আছে। আমি সেটি দেখতে বলব।

নীলুফার হুদার ‘কর্নেল হুদা ও আমার যুদ্ধ’ বইতে তিনি যেভাবে বর্ণনা করেছেন সেখানেও একটি আবছা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। টেলিফোনে কথা হচ্ছিল। মাঝখানে জিয়ার মিটিং থেকে তাহের কিছুক্ষণের জন্য বাইরে গেলেন। আবার ফিরে এলেন। এর মধ্যে একটি ঘটনা ঘটল। এটি আবার তিনি (নীলুফার হুদা) আরেকজনের কাছে শুনেছেন। কিন্তু আমার মনে হয় আমি শুনেছি, জেনেছি- এভাবে ইতিহাস লেখা যাবে না। ফ্যাক্টগুলো সত্যনিষ্ঠভাবে বের করা জরুরি। আমাদের মধ্যে যাতে কোনো ধরনের রাজনৈতিক মতলব না থাকে, সত্য অনুসন্ধানের ইচ্ছা থাকে, তাহলে কিন্তু আমরা বের করতে পারব। যার গুলিতে খালেদ মারা গেছেন, তার নামটিও মেজর হাফিজের বইয়ে আছে।

রাহাত মিনহাজ: তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচিয়ে রাখার কি কোনো সুযোগ ছিল না? আবার প্রশ্ন করি কে তাদের হত্যা করল?

মহিউদ্দিন আহমদ: নভেম্বরের তিনজন প্রধান চরিত্র। জিয়া, তাহের, খালেদ। তিনজনই বীর-উত্তম। হুদা, হায়দারও বীর-উত্তম। মুশকিল হচ্ছে বিরোধটি ছিল এই বীর-উত্তমদের মধ্যেই। এখন প্রশ্ন হলো খালেদ, হুদা, হায়দারকে কে মেরেছে? এখানে ক্যাপ্টেন জলিলের নাম আছে। তাকে কে নির্দেশ দিয়েছে? মেজর হাফিজের বইয়ে এ বিষয়ে ইঙ্গিত আছে। মীর শওকত আলী সম্ভবত বলে থাকতে পারেন, এই ধরনের কথা আছে।

আমি এই নামটি আগেও শুনেছি। এটি নিয়ে পরিপূর্ণ তদন্ত হয়নি। কেউ বলে তাহেরের নির্দেশে মারা হয়েছে। কেউ বলে জিয়ার নির্দেশে মারা হয়েছে। তদন্ত হওয়ার আগেই আমরা যখন এ রকম কথা বলে দেই, তখন আর এ রকম অ্যাকাডেমিক আলোচনার সুযোগ থাকে না। এই ধরনের বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান রাষ্ট্র করতে পারে। আরেকটি আমরা অ্যাকাডেমিকভাবে সাধনা করতে পারি। সেই সুযোগটুকু রাখতে হবে।

রাহাত মিনহাজ: ৭ নভেম্বর জিয়ার সঙ্গে তাহেরের সম্পর্কের সমীকরণটি কী?

মহিউদ্দিন আহমদ: ‘সেভ মাই লাইফ’ এটা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। কারণ জিয়ার প্রাণের সংশয় ছিল না। জাসদের একটা অভ্যুত্থান পরিকল্পনা ছিল এবং এই পরিকল্পনা অনেক দিন আগে থেকেই চলছিল। ১৫ আগস্টের আগে থেকেই এ পরিকল্পনা ছিল। এ পরিকল্পনায় তারা সেনাবাহিনীর সমর্থন চেয়েছিল।

জিয়ার মধ্যে তো উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল, এটিও আমরা জানি। সুতরাং জিয়াও জাসদের সঙ্গে একটি সম্পর্ক রাখতে চেয়েছে। কারণ জিয়া মনে করেছে জাসদ একটি সক্রিয় ফোর্স। তাহের ছিল জিয়া ও জাসদের যোগাযোগের মাধ্যম। জাসদ একটি ধারণা পেয়েছে তাহেরের কাছ থেকে। তারা যদি অভ্যুত্থান করে, তাহলে তারা একটি সাপোর্ট পাবে সেনা নেতৃত্বের। অন্যদিকে জিয়াও একটি ধারণা পেয়েছেন, তিনি যদি কিছু করেন, তাহলে তার পেছনে জাসদ আছে। কিন্তু যে মুহূর্তে খালেদ মোশাররফ দৃশ্যপট থেকে সরে গেলেন তখন ক্ষমতা জিয়ার হাতে। কারণ তিনি তখন ক্যান্টনমেন্টে। ক্যান্টনমেন্টে তাহের হচ্ছেন বহিরাগত। সুতরাং এখানে জিয়া কেন তাহেরের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করবেন? তাহেরের একটি সমস্যা ছিল।

আমি বলতে চাই তার রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার কারণে তিনি জিয়ার সঙ্গে কনফ্লিক্টে গেলেন। এই কনফ্লিক্টের কারণে তাকে তো প্রাণই দিতে হলো। জাসদের হাজার হাজার কর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে বা জেলে যেতে হয়েছে। তাদের ফ্যামিলি নিঃশেষ হয়েছে। পুরো জাসদ দলটিকে সামরিক সন্ত্রাসের মুখে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। ৭ নভেম্বরের পরে জাসদের ওপর জিয়া প্রশাসনের ধরপাকড়, অত্যাচার-নির্যাতন ছিল অকল্পনীয়। এটি হয়েছে শুধু তাহেরের রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার কারণে।

রাহাত মিনহাজ: ঘটনার জন্য অনেকেই জাসদকে হঠকারী বলে থাকেন। অনেকে দায় চাপান তাহেরের ওপর।

মহিউদ্দিন আহমদ: জাসদের পরের অবস্থার জন্য আমি তাহেরকে এককভাবে দায়ী করছি না। কিন্তু তাহেরের একটি দায় অবশ্যই আছে। জিয়ার সঙ্গে জাসদের আলাপ-আলোচনা তার মাধ্যমেই হয়েছিল। আবার ওই সময়ে যারা জাসদের নেতা ছিলেন তারাও খুব তরুণ। জাসদের প্রধান নেতা ছিলেন সিরাজুল ইসলাম খান।

১৯৭৫ সালে তার বয়স খুব বেশি হলে ৩৪ কিংবা ৩৫ হবে। এখন যদি আমরা বসে গালি দেই যে ওরা ভুল করেছে, ওরা হঠকারী। আমি তাদের পাল্টা প্রশ্ন করতে পারি, তোমরা কী করেছ? সুতরাং এই প্রশ্নের তো কোনো মীমাংসা নেই। তারা সক্রিয় ছিল। তারা যেটা চেয়েছিল, সেটা হয়নি। আমি এভাবে বলি যে, বিপ্লবকে যদি জমি চাষের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে বলব যে জাসদের তরুণরা জমি চাষ করেছে, বীজ বুনেছে, ফসল ফলিয়েছে। কিন্তু সব ফসল অন্যরা কেটে নিয়ে চলে গেছে। এটি তো হরদম হচ্ছেই আমাদের দেশে।

রাহাত মিনহাজ: বর্তমানে ৭ নভেম্বর দিনটিকে বিভিন্ন পক্ষ বিভিন্নভাবে পালন করে। বিষয়টিকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

মহিউদ্দিন আহমদ: ৭ নভেম্বরে কেউ সুবিধা পেয়েছে। কেউ ভিক্টিম হয়েছে। সুতরাং এটি কার কতটুকু পক্ষে গেল, বিপক্ষে গেল, তা নিয়েই চলে বিভাজন। খালেদ-হুদা-হায়দারকে মেরে ফেলার কারণে আওয়ামী লীগ বলছে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস। বহু বছর পরে এসে দলটি এ দিনটি পালন করছে। তারা বলতেই পারে। কারণ তারা তিনজনই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এখন তাদের হত্যা করার পরে যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারাও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

এ বিতর্কটি তাই অন্তহীন। জাসদ বলে, ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’। তারা ছিলেন এই ঘটনার অনুঘটক। ঘটনার ফসলটি পরবর্তী সময়ে পেয়েছে জিয়াউর রহমান। তারপর তিনি একটি দল করেছেন বিএনপি নামে। সেজন্য বিএনপি এটিকে বলে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’। তারা মনে করে ওইদিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে জনগণের এক ধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এটি একটি সংহতি। বিএনপি এই হিসেবে বলে, এ সবই হচ্ছে রাজনীতির স্বার্থে।

রাহাত মিনহাজ: ৭ নভেম্বরকে অনেকেই অনেকভাবে ব্যাখ্যা করেন, বিশ্লেষণ করেন। আপনি এ দিনটিকে কীভাবে দেখেন?

মহিউদ্দিন আহমদ: ৭ নভেম্বর রাজনৈতিক পালাবদল হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সব চাইতে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে জিয়াউর রহমানের উত্থান হয়েছে। একই সঙ্গে সবচেয়ে সবল-শক্তিশালী সামাজিক শক্তি হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীর উত্থান হয়েছে। ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনী হয়েছে রাজনৈতিক ক্ষমতার অংশীদার। এ বিষয়টিকে এড়িয়ে, উপেক্ষা করে এদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারছে না। আমরা দেখছি- এটিই বাস্তবতা।

রাহাত মিনহাজ: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

মহিউদ্দিন আহমদ: আপনাকেও ধন্যবাদ।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে