চিরকুট দিয়ে বাঘায় কৃষকের ফসল নষ্ট করার অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২; সময়: ১০:০২ অপরাহ্ণ |
চিরকুট দিয়ে বাঘায় কৃষকের ফসল নষ্ট করার অভিযোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় রাতের আধারে ৯ জন কৃষকের আবাদি ক্ষেতের পেয়ারা গাছ, আমগাছ, মরিচ, বেগুন ও হলুদের গাছ কেটে উপড়ে নষ্ট করে দিয়েছে অজ্ঞাত দৃষ্কৃতিকারিরা। এছাড়াও খেজুর গাছের রস সংগ্রহের পাত্র ভেঙে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের টলটলিপাড়া ও ভেড়ালীপাড়া মাঠে আবাদি ক্ষেতের ওইসব ফসল নষ্ট করা হয়েছে।

রোববার রোববার ক্ষেতে গিয়ে বিষযটি জানতে পারেন চাষিরা। এসময় পলিথিনে মোড়ানো কাগজে লেখা চিরকুট পান চাষিরা। তাতে লেখা রয়েছে- মনি রতম শরিফুল শাকিম মেম্বার গাড়ি চাই। কৃষকরা জানান,শনিবার (৫ নভেম্বর) রাতের যে কোন সময়ে দৃষ্কৃতিকারিরা এমন কান্ড ঘটিয়েছে।

উপজেলার দিঘা গ্রামের চাষি আবুল কালামের ১৪টি ও সাহাবুদ্দিনের ৭টি পেয়ারা গাছ কেটে ফেলেছে। আবুল কালাম জানান, প্রতিবিঘা জমি ২০ হাজার টাকা হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য ৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে পেয়ারার বাগান করেছেন। এজন্য এনজিও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিতেও হয়েছে।

সাইদুল ইসলাম জানান,তার আবাদি জমির প্রায় ১ কাঠা হলুদের গাছ কেটে নষ্ট করা হয়েছে। বাউসা ভেড়ালীপাড়া গ্রামের মুনসাদ আলী ও বাউসা টলটলিপাড়া গ্রামের শাহিন আলম জানান,তাদের দুইজনের ৭৫টি মরিচ গাছ নষ্ট করা হয়েছে। একইভাবে বাবুল হোসেনের ৭ টি মেহগনি, ইনছার আলীর ১০টি বেগুন ও ৫টি পেঁপে গাছ, আব্দুল মান্নানের ১টি আমগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়াও আমিরুল ইসলামের খেজুরের রস সংগ্রহের ২০টি মাটির পাত্র ভেঙে ফেলা হয়েছে।  এসব চাষিরা বলেন, তাদের প্রত্যেকের জমিতে হাতে লেখা কাগজের চিরকুট রেখে গেছে। তাতে লেখা রয়েছে- মনি, রতন, শরিফুল, শাকিম মেম্বার গাড়ি চাই।

চাষিরা বলেন, কারো সাথে তাদের কোন শত্রুতা নেই। এর পরেও দুষ্কৃতিকারিরা যা করেছে,তাতে ক্ষতির উদ্দেশ্যই করেছে। তাদের চিহিৃত করার চেষ্টা করছেন।

বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড়ের মেম্বর শাকিম উদ্দিন জানান, মাঠ পরিদর্শন করে চিরকুটে তার নাম লেখা দেখেছেন। কিন্তু কেন তার লেখা হয়েছে সে বিষয়টি আমার অজানা। তবে যারা এমন কাজ করেছে তাদের চিহিৃত করে বিচারের আওতায় নেওয়া হবে।

বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ তুফান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা বিষয়টি জানিয়ে আমাকে চিরকুটও দেখিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের জমি পরিদর্শনের জন্য উপ সহকারি কৃষি অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তদন্ত পূর্বক অপরাধীকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে