দুর্গাপুরে জেলহত্যা দিবসে সভা সঞ্চালনা নিয়ে আ.লীগের দুইগ্রুপে উত্তেজনা, সভা পন্ড

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২; সময়: ৯:২৪ অপরাহ্ণ |
দুর্গাপুরে জেলহত্যা দিবসে সভা সঞ্চালনা নিয়ে আ.লীগের দুইগ্রুপে উত্তেজনা, সভা পন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, দুর্গাপুর : রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় সভা সঞ্চালনা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুইগ্রুপের উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। এর জের ধরে দোয়া মোনাজাত না করেই সভা পন্ড হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও স্থানীয় সাংসদ প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে সিংগা এনসিডিপি মার্কেটে এই সভার আয়োজন করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান ফিরোজের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি করা হয়েছিল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে। আর বিশেষ অতিথি করা হয় স্থানীয় সাংসদ প্রফেসর ডা. মনসুর রহমানকে। এ বিষয় নিয়েও কিছুটা গুঞ্জন দেখা দেয় উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে। প্রথমেই সভা সঞ্চালনা নিয়েও উত্তেজনা দেখা দেয়। সঞ্চালনার দায়িত্ব উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের থাকলেও তিনি সভা সঞ্চলনা না করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামানকে দায়িত্ব দেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতারা তার প্রতিবাদ জানায়। তাৎক্ষনিক দারা ও ডা. মনসুর গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা উত্তেজনা ও বিতর্ক শুরু হয়। পরে তড়িঘড়ি করে আলোচনা সভা শেষ করা হলেও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়নি। দোয়া মোনাজাত ছাড়াই সভা পন্ড করে নিজনিজ নেতাকর্মীদের নিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন সাংসদ ডা. মনসুর ও আব্দুল ওয়াদুদ দারা।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাড. ইব্রাহিম আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান, দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুত কুমার সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ বলেন, জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্যকে প্রধান অতিথি না করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রধান অতিথি করে সভার শৃংখলা ভঙ্গ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি থাকার পরেও সাবেক নেতাকে দিয়ে সভা সঞ্চালনা করার ঘটনায় কিছুটা উত্তেজনা ও বিতর্ক দেখা দেয়। এমনকি জাতীয় চার নেতার আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। পরে সাংসদ ডা. মনসুর রহমানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে পুণরায় আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বাচ্চু বলেন, দলীয় ডেকোরিয়াম অনুযায়ী স্থানীয় সাংসদ ডা. মনসুর রহমানকে প্রধান অতিথি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রধান অতিথি করা উচিৎ ছিলো। কিন্তু তা না করে দলীয় সাংসদকে খাটো করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলেও উপজেলা ও জেলার নেয়ারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে