দোষারোপের মধ্যেই আটকে আছে এডিস নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২; সময়: ১১:০২ পূর্বাহ্ণ |
দোষারোপের মধ্যেই আটকে আছে এডিস নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : শুধু নির্মাণাধীন ভবনই নয় সুসজ্জিত পরিপাটি অনেক আধুনিক আবাসিক বাড়িতেও মিলছে এডিসের লার্ভা। অথচ এখনও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর দোষারোপের মধ্যেই আটকে আছে রাজধানীর এডিস নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম।

এমন পরিস্থিতিতে মামলা কিংবা জরিমানার থেকেও সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিচ্ছে উত্তর সিটি করপোরেশন। তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলছেন, পুরানো গতানুগতিক পদ্ধতিতে আটকে না থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক মশক নিধন কার্যক্রমের বিকল্প নেই। চলতি বছর সারা দেশে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭ হাজার।

আধুনিক পরিপাটি ও বিলাসবহুল বহুতল বাড়ির আশপাশে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতেই মিলেছে প্রাণঘাতী এডিসের লার্ভা। পুরো দেশ যখন কাঁপছে ডেঙ্গু জ্বরে ঠিক তখন সমাজের তথাকথিত অভিজাত ও আধুনিক শ্রেণির আবাসস্থলের কেন এমন হাল?

সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা জানান, আধুনিক বাড়িতে বাড়িওয়ালারা ঢুকতে দেয় না, বলেন তাদের বাড়ি পরিষ্কার আছে। এক বাড়িওয়ালা উল্টো সিটি করপোরেশনের উপর দায় চাপিয়ে বলেন, মশক নিধনে তারা কখনো আমার বাড়িতে আসেননি। এতো গেল আবাসিক ভবনের চিত্র। তবে নির্মাণাধীন ভবনের হাল যে আরও বেশি ভয়াবহ তারও প্রমাণ মিলেছে।

নির্মাণযজ্ঞের হিসেব মিলাতে গিয়ে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি বেমালুম ভুলে গেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ভবনের বেইজমেন্টে এডিসের রাজত্ব। ঊর্বর প্রজণনক্ষেত্র। এখানেও একই অভিযোগ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ঢুকতে না দেয়ার।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোক্তার সরকার সময় সংবাদকে বলেন, আমাদের লোকজন এখানে আসলে ঢুকতে দিতে চায় না, খুবই খারাপ ব্যবহার করে।

সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের ৪৩ ভাগ ঢাকা উত্তর, ৪১ ভাগ দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ঢাকার বাইরে রোগীর হার সাড়ে ১৫ শতাংশ।

এমন পরিস্থিতিতে, কঠিন কোনো পদক্ষেপে না গিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উপরও নির্ভরশীল সিটি করপোরেশন। যদিও, এমন অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতির জন্য নগর কর্তৃপক্ষের পুরনো গতানুগতিক পদ্ধতিকেই দুষছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম মিয়া জানান, সর্বাত্মক কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করেছি। আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন। নগরবাসীকে এ ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, একমাত্র সেই শতাব্দি প্রাচীন যে মশক নিধন কার্যক্রম আছে, এইটুকুই তারা (সিটি করপোরেশন) মনে করে যে, এটার জন্য যথেষ্ট, এটা আসলে যথেষ্ট নয়। আমাদের একটা কীটতত্ত্ব সিস্টেম আছে, বিভাগ আছে, সেটাকে উন্নত করতে হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে