ডিজিটাল জীবনযাত্রার বৈশ্বিক সূচকে ২৭ ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২২; সময়: ৫:২৪ অপরাহ্ণ |
ডিজিটাল জীবনযাত্রার বৈশ্বিক সূচকে ২৭ ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ডিজিটাল জীবনযাত্রা কিংবা প্রাত্যহিক ও সামাজিক জীবনে ডিজিটাল সুবিধার ব্যবহার ও ভোগ সম্পর্কিত বৈশ্বিক সূচক ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ ইনডেক্সে (ডিকিউএল) গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ২৭ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের।

গত বছর ২০২১ সালে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৩তম; কিন্তু চলতি বছরের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৬; অর্থাৎ এক বছরে ২৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

ডিকিউএল সূচকটি পরিচালনা করে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) পরিষেবা কোম্পানি সার্ফশার্ক। সূচকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বিশ্বের ১১৭টি দেশকে। বৈশ্বিক জনসংখ্যার শতকরা হিসেবে এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন পৃথিবীর ৯২ শতাংশ জনগণ। ২০১৮ সাল থেকে পরিচালিত হচ্ছে ডিকিউএল সুচক।

ডিজিটাল জীবন সম্পর্কিত ৫টি মৌলিক খাত বা স্থম্ভের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয় ডিকিউএল। এসব স্থম্ভ হলো ই-গভর্ন্যান্স, সাধারণ জনগণের ইন্টারনেট ডাটা ক্রয়ের ক্ষমতা, ইন্টানেট পরিষেবার গুণাগুণ, ইন্টারনেট সম্পর্কিত নিরাপত্তা এবং এ সম্পর্কিত অবকাঠামো। এসব খাতে প্রাপ্ত পয়েন্টের গড় হিসেবেই ডিকিউএল সূচকের অন্তর্ভুক্ত এক একটি দেশের অবস্থান নির্ধারিত হয়।

চলতি বছর সূচকের ই-গভর্ন্যান্স খাতে বাংলাদেশের ফলাফল সর্বনিম্ন। এই খাতে চলতি বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬তম; আর সবচেয়ে ভালো ফলাফল বাংলাদেশ করেছে জনগণের ইন্টারনেট ক্রয় ক্ষমতা সম্পর্কিত খাতে। এই বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমান বিশ্বে ২৯ তম।

এছাড়া ইন্টারনেট পরিষেবার গুণাগুণে ৬৭তম, ইন্টারনেট সম্পর্কিত নিরাপত্তায় ৭৫তম এবং ইন্টারনেট অবকাঠামোতে ৮৫তম বৈশ্বিক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

আর ইন্টারনেটের গতি, স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৬৭ তম অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিকিউএল।

বিশ্বজুড়ে প্রধানত দুই ধরনের ইন্টার‌নেট পরিষেবা ব্যবহৃত হয়- ব্রডব্যান্ড সংযোগ ও মোবাইল। বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড সংযোগের মান মোবাইল সংযোগের তুলনায় বেশ ভাল। ব্রডব্যান্ড সেবার দিক থেকে বিশ্বে ৭৮তম অবস্থানে আছে দেশ, আর মোবাইল পরিষেবার দিক থেকে আছে ১১৫ তম স্থানে।

দুই পরিষেবাতেই অবশ্য বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে ভারত। প্রতিবেশী এই দেশটির মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। আর ভারতের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি বাংলাদেশের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশের ইন্টারেনেটের গুণাগুণ মাঝারি পর্যায়ের। সার্ফশার্কের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দিন দিন বাংলাদেশের ইন্টারনেট পরিষেবার উন্নতি হচ্ছে, তবে এই খাতে আরও উন্নয়ন প্রয়োজন।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে