গোদাগাড়ীতে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সেজে হুমকির অভিযোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২২; সময়: ১২:৪৯ অপরাহ্ণ |
গোদাগাড়ীতে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সেজে হুমকির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক যুবকের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সেজে মোবাইল ফোনে লীজকৃত পুকুরের দখল ছেড়ে দিতে হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে ও ১৪২৯ বাংলা সনের খাস কালেকশন আদায়কৃত পুকুর নিজেদের দখলে বহাল রাখার জন্য গত ২ অক্টোবর উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছে উপজেলার দরগা হঠাৎপাড়া গ্রামের মৃত কালিমুদ্দীন মন্ডলের ছেলে আনারুল ইসলাম।

অভিযোগকারী আনারুল ইসলাম জানান, মোহনপুর মোজার ১১১৩ দাগের ০.৫৮ একর পুকুরটি গত ১৪২৫-১৪২৭ সন পর্যন্ত মাধবপুর সমন্বিত মৎস্যচাষী সমবায় সমিতি লি: এর মাধ্যমে ইজারা গ্রহণ করে পুকুর পাড়ে বসবাসকারী প্রায় ২৫ জন্য সদস্য নিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছি। যার চালান নং ৭০, তাং ৪ নভেম্বর ২০১৮ ।

পুকুরটি ১৪২৮ সনে ইজারা না হওয়ায় বাংলা ১৪২৯ সনের খাস কালেকশন করার জন্য বাসুদেবপুর বাসুদেবপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সরজমিনে তদন্তে গেলে পুকুরটি আমাদের দখলে আছে মর্মে গোদাগাড়ী ভূমি অফিসের কানুনগো মুক্তার হোসেন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করলে গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, গোদাগাড়ী শাখায় চালানের মাধ্যমে ইজারা কোডে দেড় হাজার টাকা জমা দিয়ে চালানের মূল কপি গোদাগাড়ী ভূমি অফিসের কানুনগো মুক্তার হোসেন এর নিকট প্রদান করি। যার চালান নং ২২২০.০০০২৭৮৮৫৬৪১।

এর পরেও জাহানাবাদ সুলতানগঞ্জ এলাকার সৈয়ব আলী ছেলে হেলাল উদ্দীন, আলিবুরের ছেলে শাহলাল ও পুকুরটি ভোগ দখল করার জন্য একই এলাকার মৃত. দুরুল হোদার ছেলে সোহেল রানা তদবীরকারক হিসেবে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সেজে আমাকে মুঠোফোনে ফোন করে গোদাগাড়ীতে ডেকে হেলাল উদ্দীনকে পুকুরটি নিয়ে দিতে বলেন।

পরবর্তীতে জানতে পারি সোহেল রানা একজন টাউট বাটপার। আমি সোহেল রানাকে প্রশ্ন করি আপনি আপনার পরিচয়ে ফোন না দিয়ে কেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সেজে ফোন দিলেন। তিনি এই কথার কোন সদুত্তর না দিয়ে বিভিন্ন রকমের হুমকি প্রদান করে।

সোহেল রানা পুকুরের বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে ভুল তথ্য প্রদান করে এবং আমাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হুমকি দিতে থাকলে আমরা মোহনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম কে বিষয়টি জানালে সোহেলকে মুঠোফোনে এই ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে বলেন। তারপরেও সোহেল হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছে।

ভূমি কর্মকর্তা সেজে মোবাইলে পুকুর ছেড়ে দেওয়া হুমকির বিষয়ে সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আনারুলের সাথে কথা বলার জন্য আমাকে ভূমি কর্মকর্তা সেজে কথা বলতে হবে তার প্রশ্নেই উঠেনা। আমাকে এমনিতেই সবাই চেনে ও জানে। এছাড়াও তিনি দাবি করেন, ওই পুকুরটি তদন্ত করে সহকারি কমিশনার (ভূমি) রে আনারুলের লীজ বাতিল করে গত ৩ অক্টোবর হেলাল উদ্দিন ও শাহলালদের খাস কালেকশনে লীজ দিয়েছে বলে জানান।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জানে আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে, কাজের ব্যস্ততা থাকায় পরে কথা বলবে বলে জানান।

 

 

 

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে