তাড়াশে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ বাণিজ্যসহ দালান সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২২; সময়: ৩:৫০ অপরাহ্ণ |
তাড়াশে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ বাণিজ্যসহ দালান সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক, তাড়াশ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাটিয়া মালিপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে নামজারির নামে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মাটিয়া মালিপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, জমির পরিমাণ যা হোক না কেন, দলিল প্রতি ৮-৯ হাজার টাকা না দিলে খারিজ হয় না। যে সমস্ত খারিজে কিছুটা জটলা রয়েছে সেসব খারিজের জন্য ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়।

বিশেষ সুত্রে জানা গেছে, সরকারি বিধি মোতাবেক স্টেটমেন্টের জমির (বড়-খতিয়ান) আংশিক খাজনা নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আংশিক খাজনা নিচ্ছেন তিনি যা নিয়মরীতির বহিঃভূত।

আরও দেখা গেছে, (আর,এস ও এস এ) খতিয়ানের ফটোকপি ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে পাবলিককে দেওয়ার বিধান না থাকলেও টাকার বিনিময়ে ঐ সব ফটোকপি প্রদান করা হচ্ছে।

সচেতন মহলের অভিযোগ, মাটিয়া মালিপাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামের কাছে কাজ নিয়ে আসা মানুষগুলো সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে ঐ ভূমি অফিসে দেখা গেছে, (০২ অক্টোবর) মাটিয়া মালিপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দালান সিন্ডিকেটের মুলহোতা রফিকুল ইসলাম রফিকের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। তিনি খাজনা-খারিজ করে দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।

শুধু তাই নয়, ভূমি অফিস ও অফিসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এবং সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে নিজের বাসাবাড়ি পাকাপোক্ত করা ও ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমানোসহ জমি লীজ নেওয়া ও জমি ক্রয়করার অনেক সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে যার তদন্ত করলে প্রমাণ মিলবে শতভাগ।

ভুক্তভোগীরা বলেন, রফিক ভূমি অফিসের কেউ নয় তাহলে নায়েব কি কারণে তাকে অফিসে ঢুকতে দেন। আমরা পাবলিক আমরা সহজ-সরল মানুষ। আমরা জানি রফিক এই ভূমি অফিসেরই লোক। তাহলে অবশ্যই রফিক দালালের সাথে এই অফিসেের নায়েবের যোগসাজশ রয়েছে। আমরা সাধারণ জনগণ রফিক দালালের বিরুদ্ধে প্রতিকার চাই যেন সে আর কোনো মানুষকে ঠকাতে না পারে এবং এই ভূমি অফিসে ঢুকতে না পারে। এ ব্যপারে ভুক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও’র) হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

গত রবিবার (০২ অক্টোবর) স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মী সরেজমিনে তফসিল অফিসে গেলে আগত খারিজকারীদের সঙ্গে কথা বললে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগও উঠে আসে। তারা জানান, মোটা অংকের টাকা দিলে খারিজ পাড় হয় আর কম টাকা দিলে খারিজ পেন্ডিং অবস্থায় রেখে দেন।

এ বিষয়ে মাটিয়া মালিপাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামসহ দালান সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রফিক আমার অফিসের কেউ নয় সে প্রতিদিন খাজনা-খারিজ করার জন্য লোকজনকে সাথে নিয়ে অফিসে আসে। আমি তাকে অফিসে না আসার জন্য নিষেধও করেছি। তার সাথে আমার কোনো যোগসাজশ নেই।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে