রাজশাহীর পূজামণ্ডপে বিশ্বকাপ ট্রফি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২২; সময়: ৬:২৫ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীর পূজামণ্ডপে বিশ্বকাপ ট্রফি

নিজস্ব প্রতিবেদক : শুরু হয়েছে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্নীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের। এ বছর দূর কৈলাস ছেড়ে দেবী পিতৃগৃহে এসেছেন ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়ায়।

এবার রাজশাহীতে ৪৫০টি মণ্ডপে আয়োজন করা হয়েছে দুর্গোৎসব। এর মধ্যে জেলায় ৯টি উপজেলায় ৩৭৪টি ও মহানগরীতে ৭৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রতিবছরই ভিন্নধর্মী থিম নিয়ে মণ্ডপ সাজিয়ে থাকেন রাজশাহীর আয়োজকরা। প্রতিবার আলোচনার কেন্দ্রে থাকে ‘টাইগার সংঘ’। এবার আসন্ন কাতার বিশ্বকাপের ট্রফির আদলে মণ্ডপ সাজিয়ে তাক লাগাতে যাচ্ছে তারা।

রাজশাহী নগরের রাণীবাজার মোড়ে টাইগার সংঘের পূজার মণ্ডপটিতে এবার থাকছে ২৬ ফুটের একটি বিশ্বকাপ ট্রফির আদল। সঙ্গে থাকবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের পতাকা। ঠিক মাঝখানে থাকবে বাংলাদেশের পতাকা। পাশেই থাকবে একতাবদ্ধের প্রতীক।

আয়োজকরা জানান, এবার টাইগার সংঘের ৪০তম পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর করোনার সচেতনতায় করোনা ও মাস্ক দিয়ে থিম করা হয়েছিল। এর আগে আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুকে স্মরণ করে রুপালি গিটারে সেজেছিল মণ্ডপ। এছাড়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বাহুবলী, ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখের অবয়ব দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করে প্রশংসা কুড়ায় টাইগার সংঘ। এবার টাইগার সংঘের পূজামণ্ডপটি সাজানো হয়েছে দুইভাবে। প্রতিমা ও মঞ্চ উভয়ই পৃথক অর্থ বুঝাবে।

টাইগার সংঘের সাধারণ সম্পাদক পার্থ পাল চৌধুরী বলেন, বরাবরই শারদীয় দুর্গোৎসবে নতুন আর ব্যতিক্রমী সাজে মণ্ডপ সাজায় থাকে টাইগার সংঘ। এবার আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবল উন্মাদনার কথা মাথায় রেখে ২৬ ফুটের একটি ট্রফি ও বিভিন্ন দেশের পতাকা এবং বিশ্বকাপ লোগো দিয়েই থিম করা হচ্ছে। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের ইভেন্ট পয়েন্টগুলো দিয়ে মণ্ডপ সাজানোর চেষ্টা করা হবে। প্যান্ডেলের রঙও হবে ফিফার অফিসিয়াল চারটি রঙে।

তিনি আরও বলেন, থিমের সাইজ হবে ৪২ ফুট ও ৩০ ফুট। মূল ট্রফিটি হবে ২৬ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট চওড়া। এটি ৪০ ফিট করার কথা ছিল। কিন্তু সেই প্রযুক্তি না থাকায় কমিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া ৩২টি দেশের পতাকাও থাকবে। আমাদের প্রতিমাও এবার রাজশাহীর মধ্যে সবচেয়ে বড় হবে। এটি লম্বায় হবে ১২ ফুট। প্রতিমা বসানোর স্থানটিও বিশ্বকাপ ট্রফির নিচের আদলে বানানো হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার বলেন, গত দুবছর করোনার প্রকোপের কারণে কিছুটা সীমিত আকারে পূজা উদযাপন করতে হয়েছে। এবার পরিবেশ ভালো হওয়ায় অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশেই পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে অনেকটা জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপন হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে