লাঠি দিয়ে দ্রব্যমূল্য কমানো সম্ভব নয়: রাজশাহীতে পরিকল্পনা মন্ত্রী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২; সময়: ২:২২ অপরাহ্ণ |
লাঠি দিয়ে দ্রব্যমূল্য কমানো সম্ভব নয়: রাজশাহীতে পরিকল্পনা মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দ্রব্যমুল্য কমানোর জন্য লাঠি নিয়ে রাজপথে বিএনপির আন্দোলনে দুঃখজনক। এতে আমরা লজ্জা পাই ব্যাথিত হই। লাঠি দিয়ে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমুল্য কমানো সম্ভব নয়। লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামা, ভালো কোন উদাহরণ নয়ও। বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আগে এক গ্রাম আরেক গ্রামের লোককে লাঠি দিয়ে মারতো। সেটাকে ডাকের মাইর বলা হতো। সেসব এখন অতীত। অথচ রাজনৈতিক স্বার্থে আমরা এখন সেগুলো করছি। এতে আমি ব্যথিত হই, দু:খিত হয়, লজ্জা পাই।

এম এ মান্নান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই সঠিক অবস্থানে রয়েছে দেশ। গত ১৫ বছর স্থিতিশীলতার কারণে দেশের মানুষ যে উপকার পেয়েছে তা এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে, যদি আমরা শৃঙ্খলা প্রদর্শন করি।

এর আগে মন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় জার্মান প্রবাসী লেখক সরাফ উদ্দিন আহমদের ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড: প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দুঃসহ জীবন’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বৃক্ষরোপণ করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, উপ-উপাচার্য প্রফেসর সুলতান-উল-ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।

আলোচনা সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন। তিনি হচ্ছেন দেশের তথ্যের আকর। তাঁর জ্ঞান ও আকাক্ষা দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। তাই শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ সমার্থক। তাঁর লক্ষ্য সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের লক্ষে এগিয়ে চলা। তিনি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার রাষ্ট্রনায়ক। তিনি সংকট সামাল দেন দৃঢ়তার সাথে, হতাশাকে ঢেকে দেন আশার আলোয়। দেশের মঙ্গল ভাবনা তাঁর মানসে প্রোথিত। দূরদৃষ্টি, বিচক্ষণতা ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা তাঁকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে এটা নিশ্চিত।

পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, রোল মডেল খুঁজতে আমাদের বিশ্বের দিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকান। সময়ানুবর্তিতার উদাহরণ হিসেবে আমরা বিভিন্ন দেশকে দেখি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়ানুবর্তিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যা আমাদের নবীন প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয়। একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে যতগুণ থাকা দরকার প্রায় সবগুণই তাঁর আছে। কেননা তিনি মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করেন।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, তিনি তৃণমূল মানুষের নেত্রী। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন সফরকালে কখনো বিলাসবহুল হোটেলে রাত্রীযাপন করেননি। বরং সরকারি জায়গায় থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে কথা বলতেন এবং তাদের সমস্যার কথাগুলো জেনে সেই অনুযায়ী কাজ করে আজকের বাংলাদেশকে এই পর্যায়ে এনেছেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী নেতৃত্বে পাহাড়ে অরাজকতা বন্ধ হয়েছে। পাহাড়িরা আজ দেশের অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে আজ বিভিন্ন উৎপাদনমূলক কাজ হচ্ছে যা জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে