নিয়ামতপুরে তুলির রঙে প্রতিমা সাজাতে ব্যস্ত কারিগররা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২; সময়: ১১:১১ পূর্বাহ্ণ |
নিয়ামতপুরে তুলির রঙে প্রতিমা সাজাতে ব্যস্ত কারিগররা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নিয়ামতপুর : দরজায় কড়া নাড়ছে সোনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। তাই এই উৎসবকে সামনে রেখে নওগাঁর নিয়ামতপুরে চলছে প্রতিমা তৈরীর শেষ মুহুর্তের কাজ। মাটির কাজ শেষ এখন শিল্পীরা রংতুলির আঁচড়ে মূর্ত হয়ে উঠছে দেবীর রূপ। আগামী মাসের ১ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই শারদীয় দুর্গোৎসব।

উপজেলার বিভিন্ন দুর্গামন্দির ঘুরে দেখা গেছে, শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতিমূলক কাজ প্রায় শেষের দিকে। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির তথ্য মতে, এবার উপজেলার ৬৪টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলার ভাবিচা দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছেন প্রতিমাশিল্পী আশুতোষ বর্মণ। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। দম ফেলার ফুরসত নেই। এবার তিনি ৪টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরি করছেন।

নিয়ামতপুর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মণ ও সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জন বিজয়পুরী বলেন, আমরা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে দুর্গোৎসব সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। তাঁরা জানান, এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ৬৩ট পূজা মন্ডপে পূজা উদযাপিত হবে।

এ বিষয়ে ভাবিচা দুর্গা মন্দির কমিটির কোষাধ্যক্ষ তুশিত কুমার সরকার জানান, বর্তমান সরকার তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে। তাই এবারের পূজায় তাদের আনন্দও বেশি হবে।

হাজিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানালেন, আমার ইউনিয়নে এবার ২টি মন্ডপে পূজা হবে। সমগ্র বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম দূর্গা মন্দির আমার এই ইউনিয়নে। শিবপুর বারোয়ারী দূর্গা মন্দিরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এমনটি ভারত থেকেও লোকজন আসে এক নজর দেখার জন্য। আমার পরিষদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পূজা মন্ডপে সব রকম সহযোগিতা করা হবে। তাছাড়া পূজা সুষ্ঠু ও আনন্দমুখর করতে আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে।

পূজা সামনে রেখে সম্ভাবনার কথা জানালেন নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ হুমায়ন কবির। তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রাখছে। উপজেলার ৬৩টি মন্ডপের মধ্যে ১০টি অধিক ঝুঁকিপূর্ন, ২৭টি সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২৬টি মন্ডপে সাধারণ ঘোষনা করা হয়েছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ মন্ডপগুলোতে বিশেষ নজরদারী থাকবে।

৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আমার নিরাপত্তা বাহিনী নিরাপত্তা দিয়ে যাবে। প্রত্যেক পূজা মন্ডপে ৪-৮ জন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদান করবে। এছাড়াও প্রত্যেকটি ইউনিয়নে একজন করে এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না এবারের পূজায়। তবে এজন্য তিনি সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

্এবারে উপজেলা ৬৩টি পূজা মন্ডপ হচ্ছে হাজিনগর ইউনিয়নে ২টি, চন্দননগরে ৫টি, ভাবিচায় ১১টি, নিয়ামতপুর সদরে ৫টি, রসুলপুরে ৫টি, পাড়ইলে ৪টি, শ্রীমন্তপুরে ১০টি এবং বাহাদুরপুরে ২১টি।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে উপজেলার প্রত্যেক মন্ডপে ২ হাজার টাকা করে এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন। এছাড়া সরকারীভাবে ৫শ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে