কুষ্টিয়ায় শিশুকে হত্যার দায়ে বাবার যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার লালন শাহ ব্রিজের উপর থেকে মুন্নী খাতুন (১০) এবং মুনসুর (৫) নামে দুই শিশু সন্তানকে পদ্মা নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যার দায়ে বাবা আব্দুল মালেককে (৪২) যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তার ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক রেজাউল করিম আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত হলেন- ভেড়ামারা উপজেলার বাহির চর ১২ দাগ এলাকার আঃ সামাদের ছেলে আব্দুল মালেক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের আগষ্টের ১৭ তারিখে সকালের দিকে মুন্নী খাতুন (১০) এবং মুনসুর (৫) নামে দুই শিশু সন্তানকে ভেড়ামারা ফেরীঘাট এলাকায় সেলুনে চুল কাটানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় তার বাবা আব্দুল মালেক।
এরপর ঈশ্বরদীগামী একটি নছিমন গাড়ীতে উঠে লালন শাহ সেতুর মাঝখানে শিশু সন্তানদেরকে নামায় এবং প্রথমে মেয়ে শিশু মুন্নী খাতুন, পরে ছেলে মুনসুরকে পদ্মা নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করেন।
এ বিষয়ে ঘটনার পরের দিন শিশু সন্তানদের মা মমতাজ খাতুন বাদী হয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ভেড়ামারা থানার পুলিশ পরিদর্শক রিয়াজুল ইসলাম আসামীকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেন আদালতে। স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।