তাড়াশ-নওগাঁ সড়কের বেহাল দশায় জনদূর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২; সময়: ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ |
তাড়াশ-নওগাঁ সড়কের বেহাল দশায় জনদূর্ভোগ চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক, তাড়াশ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বাসবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কার (৩৪)। পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক। বাড়ির পাশের খালকুলা সড়কেই তিনি ভ্যান চালান।

প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় এক মাছচাষির পোনা মাছ আনা-নেওয়ার কাজ করছিলেন ড্রামে করে। হঠাৎ কাজের একপর্যায়ে ওই বেহাল সড়কের এক গর্তে পড়ে আটকে যায় তার ভ্যানের চাকা। পরে অন্য এক পথচারী এসে ভ্যানের সামনে থেকে টান দিতেই খুলে যায় চাকা। মেরামত করতে ব্যয় হয় ৬০০ টাকা। জলে যায় সারাদিনের শ্রম।

শুধু খালকুলা নয়, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় নওগাঁ সড়কও বেহাল অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ওই সড়ক দুটি দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। সড়কের মাঝখানে থাকা বড় বড় গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে ভ্যান ট্রাকসহ ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন। বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৪০ হাজার মানুষ যাতায়াত করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সংস্কারের অভাবে সড়কে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই সেসব খানাখন্দে পানি জমে যায়। ২০ মিনিটের রাস্তা এখন চলাচলে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা।

ওই দুই সড়কের পথচারী আব্দুস সালাম জানান, সম্প্রতি খালকুলা সড়কে গর্তে পড়ে একটি ভ্যানের চাকা খুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে।

স্থানীয় মাছচাষি মাসুদ রানা বলেন, এ উপজেলা মাছ ও শস্যের ভান্ডার হলেও সবধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বিভিন্ন কৃষিপণ্য নিয়ে পার্শ্ববর্তী হাট-বাজারে নিয়ে যেতে না পারায় আমাদের ব্যাপক লোকসান গুনতে হয়।

খালকুলা সড়কের ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক হাসমত আলী বলেন, সড়কের অবস্থা জঘন্য। রাস্তা খারাপ হওয়ার জন্য এখান দিয়ে ভালোভাবে চলাচল করতে পারি না।

স্থানীয় বাসবাড়িয়া এলাকার সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার এমন বেহাল দশা চলছে। প্রসূতি নারীদের হাসপাতালে আনা-নেওয়া করতে ভোগান্তির শেষ থাকে না।

জানতে চাইলে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা ইফতেখার সারোয়ার ধ্রুব, এ প্রতিবেদককে জানান, রাস্তাটির কাজ চলমান। এরই মধ্যে খুঁটিগাছা থেকে নওগাঁ পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং করা হয়েছে। আশা করা যায় আগামী এক মাসের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে।

তবে খালকুলা রাস্তাটি স্থানীয় সরকার বিভাগের নয়, সড়ক ও জনপদ বিভাগের বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ বলেন, নওগাঁ সড়কের কাজ চলমান। জনদুর্ভোগ কমাতে খালকুলা সড়কের কাজও খুব দ্রুত শুরু হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে