হিজাবকাণ্ডে উত্তাল ইরান, সংঘর্ষে নিহত ৫

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২; সময়: ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ |
হিজাবকাণ্ডে উত্তাল ইরান, সংঘর্ষে নিহত ৫

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : হিজাব ইস্যুতে গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল ইরান। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে শতাধিক। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

পুলিশি হেফাজতে তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবারও উত্তাল ছিল ইরানের বিভিন্ন শহর। এদিন দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কামারানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।

প্রতিবাদ বিক্ষোভে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংস প্রতিক্রিয়ার কড়া সমালোচনা করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে সংস্থাটি বলছে, তার মর্মান্তিক মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ এবং পরবর্তী সময়ে কী ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে তার সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত হতে হবে। মাহসার পরিবার যে অভিযোগ এনেছে সেটাও গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে।

এদিকে মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে কানাডা, জার্মানি ও তুরস্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ইরান সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় অনেকে মাথার চুল কেটে প্রতিবাদ জানান।

‘সঠিকভাবে’ হিজাব না পরার কারণে মাহসা আমিনি নামে ২২ বছর বয়সী এক তরুণীকে সম্প্রতি গ্রেফতার করে ইরান পুলিশ। এরপর ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে গেলে তাকে ‘মারধরের’ অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই গত ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান মাহসা আমিনি।

ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফারসের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া জানায়, মাহসা নামে ওই তরুণী চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশ থেকে রাজধানী তেহরানে তার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান।

এ সময় ‘সঠিকভাবে’ হিজাব না পরায় তাকে গ্রেফতার করে ‘গাশত-ই এরশাদ’ নামে পরিচিত ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। ‘সঠিকভাবে’ হিজাব না পরার যুক্তি হিসেবে তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, চুল পুরোপুরি না ঢাকার জন্য মাহসা আমিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইরান পুলিশের দাবি, আটক থাকা অবস্থায় মাহসা ‘হার্টের সমস্যায়’ ভুগছিলেন। তবে পুলিশের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, পুলিশের মারধরেই মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে