নিরাপদ জীবনে বসতভিটা ছাড়তেও রাজি ঘুমধুম সীমান্তের বাসিন্দারা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২; সময়: ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ |
নিরাপদ জীবনে বসতভিটা ছাড়তেও রাজি ঘুমধুম সীমান্তের বাসিন্দারা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : নিরাপদে থাকতে বসতভিটা ছাড়তেও রাজি মিয়ানমার সীমান্তের কাছে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা। জরুরি মুহূর্তে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে এরই মধ্যে তালিকা করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্র এবং খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।

তমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখার খুব কাছে মাঝেরপাড়ায় বসবাস করেন নুর সালাম। পরিবারের সদস্যসংখ্যা ১৪ জন। রাতদিন মিয়ানমারের বেপরোয়া গুলি ও গোলার বিকট শব্দে ঘুম নেই তার। এরই মধ্যে পরিবারের অনেক সদস্য ভয়ে ঘর ছেড়ে রাতে আশ্রয় নেন অন্য জায়গায়।

শুধু নুর সালাম নন, কাঁটাতারঘেঁষা সীমান্ত এলাকায় বাস করা প্রতিটি পরিবারের এখন একই অবস্থা। আতঙ্কে আর নির্ঘুম রাত কাটাতে চায় না তারা; থাকতে চান নিরাপদে।

সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এরই মধ্যে ৩০০ পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জরুরি মুহূর্তে তাদের সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি খাদ্য এবং আশ্রয়কেন্দ্রেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি ৩ নম্বর ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ।

এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি জানান, সীমান্তের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য সব ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে ঘুমধুম ইউনিয়নের সঙ্গে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সীমানা পড়েছে ১৫ কিলোমিটারের মতো।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে