রাণীনগরে একইসাথে চেয়ারম্যান ও স্কুলের শিক্ষকতার দায়িত্ব পালনের অভিযোগ তদন্ত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২; সময়: ৬:৩৭ অপরাহ্ণ |
রাণীনগরে একইসাথে চেয়ারম্যান ও স্কুলের শিক্ষকতার দায়িত্ব পালনের অভিযোগ তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন একই সাথে একটি স্কুলের আইসিটি শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী একই ব্যক্তি একাধীক লাভজনক পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, এমন অভিযোগ উত্থাপন করে ওই এলাকার বাসিন্দা মহসিন মল্লিক ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সরেজমিন তদন্ত করেছেন নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

অভিযোগে জানা গেছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা গ্রামের ফরিদ উদ্দীনের ছেলে আব্দুল মতিন (মাস্টার) একই উপজেলার মালসন-গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে আইসিটি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এরই মধ্যে গত বছরের ১১ নভেম্বর বড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে তিনি নির্বাচিত হন।

কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী একই ব্যক্তি একাধীক পদে থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারবেনা এমন বিধি লঙ্ঘন করে একই সাথে শিক্ষকতা এবং চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযোগে বলা হয়,দু’টি প্রতিষ্ঠানে একই সময়ে অফিস হওয়ায় কোন প্রতিষ্টানেই তিনি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আইসিটি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

ফলে বিধি বহির্ভূতভাবে দু’টি পদে অধিষ্ঠিত থাকায় তদন্ত সাপেক্ষে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য গত ২১ আগষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একই এলাকার শলিয়া গ্রামের সোলেমান মল্লিকের ছেলে মোহসিন মল্লিক।

অভিযোগকারি মোহসিন মল্লিক বলেন,একজন ব্যক্তি একই সাথে কখনোই দু’টি পদে থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এতে বিদ্যালয়ে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখার ক্ষতি হচ্ছে,অন্য দিকে শিক্ষকতার চাকুরি বহাল রাখতে গিয়ে পরিষদের জনগনকেও ভাল সেবা দিতে পারছেন না। ফলে দুই প্রতিষ্ঠানই চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে। যে কারনে এলাকার সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন অভিযোগ প্রত্যাখান করে বলেন, আইন ও বিধি মেনেই দুই পদে দায়িত্ব পালন করছি। সমাজে আমাকে হেয় করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান সরেজমিন গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছেন। তিনি বলেন,এখনো তদন্ত সম্পন্ন হয়নি।আরো কিছু কাজ বাঁকী আছে। তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পরেই প্রতিবেদন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে