নিয়ামতপুরে দাদন ব্যবাসায়ীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব আদিবাসী পরিবার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২; সময়: ৬:২২ অপরাহ্ণ |
নিয়ামতপুরে দাদন ব্যবাসায়ীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব আদিবাসী পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক, নিয়ামতপুর : নওগাঁর নিয়ামতপুরে ভীম চন্দ্র বর্মন নামে এক দাদন (সুদ) ব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে আদিবাসী পরিবারসহ কয়েকটি পরিবার। বিশেষ করে দাদন ব্যবসায়ীর দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন রকমের হুমকির স্বীকার হয়েছে এসব পরিবারের কোনো না কোনো সদসস্যকে। মামলার ভার সইতে না পেরে এখন স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

সোমবার (১২ অক্টোবর) উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের বোরামবাড়ীর মৃত সূর্যকান্ত তিগ্যার ছেলে অরবিন্দ তিগ্যাসহ ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবার মামলা থেকে মুক্তি ও দাদন ব্যবসায়ী ভীম চন্দ্র বর্মনের বিচারের দাবিতে সাংবাদিকের সাথে কথা বলেন।

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন অরবিন্দ তিগ্যা ও তার স্ত্রী। অরবিন্দ তিগ্যা বলেন, উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের নরেশ চন্দ্র বর্মনের ছেলে ভীম চন্দ্র বর্মন। সে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি রামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার রোষানলে পরে আমি সর্বশান্ত হয়েছি। আমি তার কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। তার বোন জামাই এর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। বিনিময়ে এ পর্যন্ত ৬৫ হাজার টাকা সুদ দেওয়া হয়েছে। অথচ এই ভীম মাস্টার আমার বিরুদ্ধে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মামলা আদালতে করেছে।

অরবিন্দ বলেন, ভীম মাষ্টারের বোন জামাইন এর কাছ থেকে বিশেষ প্রয়োজনে ৫০ হাজার টাকা টাকা ধার করি। শর্ত সাপেক্ষ স্বাক্ষর করে চেক বইয়ের পাতা দেই ভীম মাষ্টারের বোন জামাইকে। আমি তার বোন জামাইকে ৬৫ হাজার টাকা সুদসহ পাওনা টাকা পরিশোধ করি। এবং জনতা ব্যাংক নিয়ামতপুর শাখার চেক ফেরত চাইলে সে তাৎক্ষণিক ফেরত না দিয়ে পরে দেওয়ার কথা বলেন। তার পূর্বে ভীম মাষ্টার কৌশলে আমার দেওয়া চেক ও ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়।

তিনি আরো বলেন, ‘কিছুদিন পর ভীম মাষ্টার আমার বিরুদ্ধে চেকের মামলা করে। ভীম চন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধে গোরাই গ্রামে আরো বেশ কিছু পরিবারকে দাদন ব্যবসার ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অবিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী অরবিন্দ তিগ্যা।

এ বিষয়ে ভীম চন্দ্র বর্মন বলেন, অরবিন্দ মুরগীর ব্যবসা করতেন। মুরগী ক্রয় ও মুরগীর শেড বানানোর কথা বলে আমার নিকট থেকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা কর্জ নেয়। প্রায় ২ বছর পার হতে চলল। এখন পর্যন্ত কোন টাকা পরিশোধ করে নাই। টাকার কথা বললে বিভিন্ন রকমের টাল বাহানা করে। এখন সে টাকা না দেওয়ার পায়তারা করছে। তাই মামলা করতে বাধ্য হই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হোক বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন পরিবার যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে