তীব্র ভাঙনে পদ্মার পেটে শতাধিক বাড়ি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২; সময়: ২:০৫ অপরাহ্ণ |
তীব্র ভাঙনে পদ্মার পেটে শতাধিক বাড়ি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : শরীয়তপুরের জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ৫০০ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তীব্র ভাঙনে ১৩০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম চালাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। এতে পদ্মা নদীর তীরবর্তী কয়েকটি এলাকায় ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জাজিরার পালেরচর ইউনিয়নের কাথরিয়া মহন ফকিরের কান্দি, বড়কান্দি ইউনিয়নের রঞ্জন ছৈয়ালকান্দি, খলিফাকান্দি ও মীর আলী মাদবরকান্দি এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের কাচিকাটা মৌজায় ভাঙনে ১৩০টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। এর পাশাপাশি ৫০০ একর ফসলি জমি পদ্মায় বিলীন হয়েছে।

ভাঙনের আশঙ্কা থাকায় জুন ও জুলাই মাসে পালেরচর ইউনিয়নের পদ্মার তীরে ৯৫০ মিটার এলাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। ভাঙন ঠেকাতে বড়কান্দি ইউনিয়নের ২ কিলোমিটার এলাকায় জিওটিউব ফেলা হচ্ছে।

জাজিরার ফকিরেরকান্দি এলাকার বাসিন্দা রুবেল ব্যাপারি বলেন, প্রতিবছর এই মৌসুম এলেই নদী ভেঙে আমাদের সব নিয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিও ব্যাগ ফেললেও কাজ হয় না। আমাদের এখন একটাই দাবি এই এলাকায় একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হোক।

একই গ্রামের হামিদা বলেন, ভাঙনে আমাগো সব ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। একমাত্র থাকার বসতঘরটি সরিয়ে নিয়ে পদ্মার চরে আশ্রয়ের জন্য যাচ্ছিলাম। তাও ট্রলার ডুবে যায় সব তলিয়ে গেছে। আমাদের সব শেষ।

রঞ্জন ছৈয়ালকান্দি গ্রামের সেন্টু ইসলাম বলেন, আমরা এখন দিশেহারা। আমাদের সব কিছু নদী নিয়ে গেছে। আমাদের থাকার জায়গাটুকুও নেই। আমরা অনেকবার স্থায়ী বাঁধের দাবিতে আন্দোলন করেছি। আমরা এখন ত্রাণ চাই না, স্থায়ী বাঁধ চাই।

শরীয়তপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে আমরা জিও ব্যাগ ফেলছি। ভাঙন হতে পারে এমন আশঙ্কা করে আগে থেকেই জাজিরায় জিওব্যাগ ফেলে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। তারপরও কিছু বাড়ি-ঘর বিলীন হয়েছে। আমরা ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে