আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না : বিএনপি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২; সময়: ৯:০৬ অপরাহ্ণ |
আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না : বিএনপি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে দেবে না বলে আবারও হুশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে নির্বাচন ইভিএম ব্যবহার করতে দেয়া হবে না বরে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিবসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা।

দাবি আদায়ে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছে বিএনপি নেতারা। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা এ আহবান জানান।

জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেটের সামনে বিএনপির সমাবেশ যোগ দেন দলটির মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা। দুপুর থেকে সমাবেশস্থলে আসতে থাকে কর্মীরা।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ গর্জে উঠেছে। আমাদের প্রতিশোধ একটাই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, এ মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করানো। আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এ আন্দোলনে আমাদের বিজয় নিশ্চিত।

মির্জা ফখরুল বলেন, যারা এই দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে সেই ব্যর্থ সরকারকে এই মুহূর্তে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বাতিল করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।

তিনি বলেন, আবার একটা নির্বাচন আসছে, এটা নিয়ে পায়তারা করছে। ইভিএম দিয়ে তারা নির্বাচন করতে চায়। পরিষ্কার করে বলছি, এই আওয়ামী লীগ থাকলে, হাসিনা সরকার থাকলে নির্বাচন হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে এ সরকার সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। পার্লামেন্ট আছে যেটাকে আমরা রাবার স্ট্যাম্প পার্লামেন্ট বলি। সংসদে জনগণের বিষয় নিয়ে কথা হয় না, একজনকে নিয়ে শুধুমাত্র তোষামোদি হয়।

বিচার বিভাগে মানুষ বিচার পায় না। অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। কারণ, খালেদা জিয়াকে সরকার ভয় পায়। খালেদা জিয়া রাস্তায় নামলে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ রাজপথে নামবে।

তিনি আরো বলেন, প্রশাসনকে বলতে চাই জনগণকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। জনগণ থেকেই আপনারা এসেছেন। জনগণের ট্যাক্সের টাকায়ই আপনাদের বেতন হয়, সংসার চলে। সুতরাং এই জনগণকে সম্মান করবেন। বেআইনি নির্দেশ নিয়ে কথায় কথায় গুলি করবেন না।

ওই যেমন র‌্যাবের ওপরে স্যাংশন এসেছে, ঠিক তেমনি যে কোনো বাহিনীর ওপরে স্যাংশন আসতে পারে। যদি তারা আইন না মেনে মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে থাকে।

আমরা সারাদেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি তেল, ডাল, চাল, লবনের দাম কমানোর জন্য। আন্দোলন করছি পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাসের দাম কমানোর জন্য। আন্দোলন করছি সারের দাম কমানোর জন্য। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা।

তিনি বলেন, সারাদেশে গত ১৫ বছর ধরে এই আওয়ামী লীগ সরকার খুন করে, গুম করে, গুলি করে, নির্যাতন করে জনগণের যে অধিকার রয়েছে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। নাগরিক অধিকার আমার সাংবিধানিক অধিকার। এটা কোনো রাজতন্ত্র নয়, এটা কোনো পরিবার তন্ত্র নয়। জনগণকে অবশ্যই তাদের অধিকার পালন করতে দিতে হবে।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, গণ-পরিবহনের ভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে ভোলার আবদুর রহিম, নূরে আলম ও নারায়ণগঞ্জের শাওন হত্যার প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে