সুজানগরে হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২; সময়: ৮:৪১ অপরাহ্ণ |
সুজানগরে হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ

এম এ আলিম রিপন, সুজানগর : পাবনার সুজানগরে একটি হত্যা মামলার আসামিদের বাড়িতে ও মুরগির খামারে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে পৃথক ২ টি মামলা হয়েছে ।

গত শনিবার রাতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসের ছেলে এরশাদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আব্দুল হালিম বিশ্বাসের স্ত্রী জাকিয়া খাতুন একটি এবং অপর মামলাটি করেন আক্কাজ বিশ্বাসের স্ত্রী কোকেলা খাতুন। উভয় মামলাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত এরশাদের চাচা ও স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আকাই শেখ সহ ৪৮ জন করে নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে প্রতিটি মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে রবিবার সুজানগর থানার ওসি আব্দুল হাননান জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত এরশাদ হত্যা মামলা সহ আক্কাজ বিশ্বাসের বাড়িতে ও হালিম বিশ্বাসের মুরগির খামারে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে দায়ের হওয়া ৩টি মামলার আসামিদেরকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। জানাযায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার ভাঁয়না ইউনিয়নের চরবিশ্বনাথপুর গ্রামে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস পক্ষের লোকজনের সাথে স্থানীয় আকাই শেখ পক্ষের পূর্ব বিরোধ ও জমিতে গিয়ে ছাগলে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এরশাদ শেখ(৩৪) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত এরশাদ শেখের পিতা মোয়াজ্জেম শেখ সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস ও তার ছেলে হালিম বিশ্বাস সহ ১৭ জন এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস,স্থানীয় বিএনপি নেতা রফিক বিশ্বাস ও মামুন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে গত সোমবার পাবনা কোর্টে প্রেরণ করে। এদিকে উভয় পক্ষের এ সংঘর্ষের ঘটনায় এরশাদ শেখ নিহত হওয়ার পরপরই আজম আলী বিশ্বাস পক্ষের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় আক্কাজ বিশ্বাসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসের ছেলে হালিম বিশ্বাসের পোল্ট্রি মুরগির খামারে অগ্নিসংযোগ ও রাতের আধারে মাছের খামারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজম আলী বিশ্বাস পক্ষের লোকজন আকাই শেখ পক্ষের লোকজনকে দায়ী করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নিহত এরশাদ শেখের পিতা মোয়াজ্জেম শেখ জানান, আজম আলী বিশ্বাসের ছেলে হালিম বিশ্বাস আমার সন্তানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করায় সন্তানকে হারিয়ে এমনিতেই আমরা বাকরুদ্ধ। অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মতো এ ধরণের ঘটনা কেন আমরা ঘটাতে যাব। আজম আলী বিশ্বাস পক্ষের লোকজন মামলা থেকে বাঁচতে অথবা তৃতীয় কোন পক্ষের লোকজন এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে