গুরুদাসপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আহম্মদ আলী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২; সময়: ৬:৫১ অপরাহ্ণ |
গুরুদাসপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আহম্মদ আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গুরুদাসপুর উপজেলা শাখা’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ৯ অক্টোবর। সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই ব্যপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে আওয়ামীগের হাইকমান্ডের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অনেকেই।

পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ আ-লীগ কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটির সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহম্মদ আলী মোল্লাও। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে চান তিনি।

সার্বিক বিষয়ে কথা হয় আহম্মদ আলী মোল্লা’র সঙ্গে। তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সৎ যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। আমি দলে অনুপ্রবেশকারী নয়। ছাত্রজীবন থেকে সততার সঙ্গে রাজনীতি করে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক এবং কোন অপরাধের সাথেও কোনদিন জড়াইনি। এ কারণেই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১১-২০১৩ তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচীত করেছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটির সদস্য হিসেবেও নির্বাচীত করেছেন।

নিজের কাছে আপনি যোগ্য প্রার্থী কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে আহম্মদ আলী মোল্লা বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড যেমন ব্যক্তিত্ব খুঁজছেন; আমি মনে করি প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি যোগ্য। স্বাভাবিকভাবে গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতেই পারি।

সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হলে আপনার পরিকল্পনা কী; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে চাই। আওয়ামী লীগে হাইব্রির্ড অনুপ্রবেশকারীরা ভরে গেছে। প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রাধান্য দিতে চাই। দলকে সু-সংগঠিত করতে যা করা প্রয়োজন তার সর্বোচ্চটা করতে চাই। নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান এমন ব্যক্তি হতে হবে।

টাকা ও অস্ত্রের জোর যাদের আছে তারাই শুধু যোগ্য নয়। তাদের যোগ্যতা নির্ভর করবে আদর্শের প্রতি, নেত্রীর প্রতি, দলের প্রতি তাদের কতখানি শ্রদ্ধা আছে এ বিষয়ের উপর জোর দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে চাই বলেও যোগ করেন তিনি।

আহম্মদ আলী মোল্লা বলেন, প্রায় ৩০ বছরেরও বেশি দীর্ঘায়িত রাজনৈতিক জীবন। একটা দিন একটা মুহুর্তও দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে যাইনি। নাটোর-৪ আসন (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। দলীয় মনোনয়ন দুই দুই বার না পেয়েও নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছি। নৌকা মার্কাকে জয়লাভ করিয়েছি। ১/১১ শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রেখেছি। নিজের জীবন বাজি রেখে জামায়াত-বিএনপি ও শিবিরের তান্ডবের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছি। আওয়ামী লীগের দুঃস্বময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রেখেছি। এখনও দলকে সু-সংগঠিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

জানা যায়, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের মধ্যবিত্ত্ব পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। পারিবারিক ভাবেই আওয়ামী লীগ। ধারাবারিষা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে (১৯৯৮-২০১৫) সালে প্রথম রাজনীতিতে পদবী পান। (২০০৩-২০১৮) সালে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন ধারাবারিষা মুজিবসেনা সংঘে।

(২০১১-২০১৩) তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং (২০১১-২০১৩) তে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক (সাংগঠনিক বিভাগ খুলনা) হিসেবে এবং রাজশাহী মহানগর ঘাতক নির্মূল কমিটির সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ’র কৃষি ও সমবায় উপ-কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উপজেলার ধারাবারিষা স্কুল থেকে এস.এস.সি পাশ করে। একই উপজেলার বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয় এখন যেটা বিলচলন শহীদ শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। সেখান থেকে এইচ.এস.সি পাশ করে এবং রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে।

রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে রাখছেন অভাবনীয় ভূমিকা। বানভাসি মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন, দাঁড়িয়েছেন ঈদের দিনে ঈদের মাংশ নিয়ে। করোনা মহামারীর সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দিয়েছেন নগদ অর্থ ও খাবার। দিয়েছেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। শীতার্থ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করেছেন কম্বোল বিতরণ। এক কথায় অসহায় হত দরিদ্র মানুষের পাশে সার্বক্ষনিক পাশে থাকেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন নিয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম রমজান মুঠোফনে জানান, গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ প্রাথমিক ভাবে ঠিক করা হয়েছে আগামী ৮ অক্টোবর। কোন কারণ বসত তারিখ পেছালেও অক্টোবর মাসেই সম্মেলন শেষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে শাস্তি পাওয়া এমন কোন নেতা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, সম্মেলন ভোটের মাধ্যমেও হতে পারে আবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তে সিলেকশনের মাধ্যমেও হতে পারে। তবে সম্মেলনকে ঘিরে কেউ যদি পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে তাহলে তাকে কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবেনা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে