লালপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১২

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২; সময়: ৪:৫০ অপরাহ্ণ |
লালপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর : নাটোরের লালপুর উপজেলার গৌরীপুরে বিএনপির সমাবেশে যোগ দেওয়ার পথে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার দুই বিএনপি কর্মীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দক্ষিণ লালপুরের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে গোলাম মোস্তফা তুহিন (৪২) ও পালিদেহা গ্রামের ছইর উদ্দিনের ছেলে মহির উদ্দিন (৫৮)।

এর আগে পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে এজাহারনামীয় ৫৬ জনসহ অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

জানা গেছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদলের সভাপতি নূরে-আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে গৌরীপুরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম ফজলুর রহমান পটলের বাসভবন চত্বরে সমাবেশের ডাক দেয় লালপুর উপজেলা বিএনপি।

সমাবেশে যোগ দেওয়ার পথে উপজেলার পালিদেহা মোড়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসার পথে বিকেল ৫টার দিকে পালিদেহা মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এসময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ ছাড়াও দুই রাউন্ড টিয়ার সেল ও তিন রাউন্ড ফাকা গুলি বর্ষণ করে।

এ সময় লাঠির আঘাতে বিএনপি কর্মী আব্দুল মজিদ, আমির হোসেন, আলি আহমেদ, আনোয়ার, জিল্লুর রহমান, আসতাব আলী, আফসার, জিল্লুর রহমান, জাহাঙ্গীর ও খলিল উদ্দিন নামে কয়েকজন আহত হন।

ওই সমাবেশে নাটোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন, সদস্যসচিব ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ পাপ্পু, ফজলুর রহমান পটলের মেয়ে অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল, গোপালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোলাম, বাগাতিপাড়া বিএনপির আহ্বায়ক মোশারফ হোসেনসহ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. ইয়াসির আরশাদ রাজন বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে পুলিশ পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে আমাদের ১২ জন নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘উত্তেজিত বিএনপির কর্মীরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড টিয়ার সেল ও তিন রাউন্ড শটগানের গুলি বর্ষণ করা হয়েছে।’

 

 

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে