সুজানগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতিসহ আটক ৩

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২; সময়: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ |
সুজানগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতিসহ আটক ৩

এম এ আলিম রিপন, সুজানগর : পাবনার সুজানগরে স্থানীয় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এরশাদ শেখ(৩৪) নামে একজন নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ভাঁয়না ইউনিয়নের চরবিশ্বনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এরশাদ শেখ ওই ইউনিয়নের চর মানিকদির গ্রামের মো.মোয়াজ্জেম শেখের ছেলে ও স্থানীয় বিএনপির কর্মী।

এ ঘটনায় নিহত এরশাদ শেখের পিতা মোয়াজ্জেম শেখ সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস ও তার ছেলে হালিম বিশ্বাস সহ ১৭ জন এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপরপরই অভিযান চালিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস,স্থানীয় বিএনপি নেতা রফিক বিশ্বাস ও মামুন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে সোমবার পাবনা কোর্টে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

এছাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসের লাইসেন্সকৃত বন্দুকটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাবনা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(সুজানগর সার্কেল) মো.রবিউল ইসলাম। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস পক্ষের লোকজনের সাথে স্থানীয় মোকাই শেখ পক্ষের পূর্ব বিরোধ ও স্থানীয় চরবিশ্বনাথপুর মাদারতলায় রাস্তার পাশে দোকান দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা আজম আলী বিশ্বাসের চাচাতো ভাই আক্কাজ বিশ্বাসের ছাগল মোকাই শেখের জমিতে গিয়ে ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এবং পরবর্তীতে রাতে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় এরশাদ শেখ গুলিবিদ্ধ সহ আরো অন্তত ১১ জন আহত হন।

পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিএনপি কর্মী এরশাদ শেখকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। আহত গোলাপ শেখ, জীবন শেখ,মাহফুজা খাতুন, মুন্নী খাতুন সহ অন্তত ১১ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি আজম বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল হালিম বিশ্বাস প্রকাশ্যে গুলি করে এরশাদকে শেখকে হত্যা করেছে। এবং তাদের পক্ষের লোকজন বিভিন্ন ধরণের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ১১ জনকে আহত করেছে ।

অপরদিকে বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম আলী বিশ্বাস পক্ষের লোকজনের দাবি করেন সংঘর্ষের এ ঘটনার পরপরই আজম আলী বিশ্বাসের মুরগীর খামার এবং আক্কাজ বিশ্বাসের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ বিষয়ে সুজানগর থানার ওসি আব্দুল হাননান জানান, লাইসেন্সকৃত নাকি অবৈধ অস্ত্র দ্বারা এরশাদকে শেখকে হত্যা করা হয়েছে তা তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। এছাড়া মামলার অপর আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে