নেচে ভাইরাল প্রধান শিক্ষক-সভাপতি-ইমাম

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২; সময়: ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ |
নেচে ভাইরাল প্রধান শিক্ষক-সভাপতি-ইমাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে শিক্ষা সফরে গিয়ে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও মসজিদের ইমামের নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিজে গানের সঙ্গে শিক্ষকদের এমন নাচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের এলংজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা প্রায় আড়াইশ জন পাঁচটি নৌকায় এলংজানী থেকে শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাচারি বাড়ি ও পাবনা জেলার বেড়ার পাওয়ার প্লান্টে যান। এ সময় নৌকায় সাউন্ড বক্সে ডিজে গান বাজিয়ে উদ্যম নাচে মেতে ওঠেন প্রধান শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্যরা।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এলংজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলম, বিদ্যালয়ের সভাপতি আউয়াল সরকার এবং এলংজানী দাখিল মাদরাসার দপ্তরি ও কায়েমকোলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল ইসলাম নৌকার ওপর সাউন্ডবক্সে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে উদ্যম নাচে মেতে উঠেছেন। পরে নাচে যোগ দেন বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আল মামুন, সহকারী শিক্ষক শাহাজাহান এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম। এ ঘটনার পর শিক্ষক-অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এলংজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও গোনাইগাঁতী গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন বলেন, শিক্ষা সফরের নামে ডিজে গানের সঙ্গে শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও ম্যানেজিং কমিটি সভাপতির এমন উদ্যম নাচ কোনো সভ্য সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না। এতে বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক একদিকে যেমন শালীনতা লঙ্ঘন করেছেন অপরদিকে একটি মাদরাসার দপ্তরি ও মসজিদের ইমাম হয়ে যে নাচে অংশগ্রহণ করেছেন, তিনিও ইসলামের নিয়মকানুন লঙ্ঘন করেছেন।

এলংজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলম বলেন, শিক্ষা সফরে গেলে তো একটু আনন্দ হবেই। তবে একটি মহল আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এভাবে ভিডিও করে ও এসব ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল করেছে।

উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম শামসুল হক বলেন, এলংজানী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা সফরে যাওয়ার আগে আমাদের কারও কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিজে গানের সঙ্গে উদ্যম নাচ আমি দেখেছি। তাদের এভাবে নাচানাচি করা ঠিক হয়নি। পরবর্তীতে যেন এমন না হয় এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে সতর্ক করা হবে।

কথা বলার জন্য বিদ্যালয়ের সভাপতি আউয়াল সরকার, এলংজানী দাখিল মাদরাসার দপ্তরি ও কায়েমকোলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল ইসলাম ও উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে