বেড়েছে মুরগির দাম, সবজি অপরিবর্তিত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২; সময়: ১:৫১ অপরাহ্ণ |
বেড়েছে মুরগির দাম, সবজি অপরিবর্তিত

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দামই অপরিবর্তিত রয়েছে। যোগান ভালো থাকায় দাম অপিরিবর্তিত রয়েছে সবজির। তবে দাম বেড়েছে মুরগি, লবণ ও গুঁড়া দুধসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের।

শুক্রবার সকালে রাজধানী উত্তরার আজমপুর কাঁচাবাজার, কারওয়ান বাজার ও মিরপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব চিত্র পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে আগের দমে বিক্রি হচ্ছে সবজি। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে সিমের কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহে সিমের কেজি ছিল ২৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ‌৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৫০ টাকা।

এদিকে কাঁচামরিচের দাম কমেছে। ৮০ টাকা দাম কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

এদিকে খোলা চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এছাড়াও লালা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডালের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হত ১১০ টাকায়। বেড়েছে লবণের দাম। লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে লবণের কেজি ছিল ৩৫ টাকা।

বাজারে বেড়েছে গুঁড়া দুধের দাম। আধা কেজি গুঁড়া দুধের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৪২৫ টাকায়। সপ্তাহ আগে আধা কেজি বিক্রি হত ৪০০ টাকায়।

ভোজ্যতেল ৭ টাকা বৃদ্ধি হয়ে নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেল লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯২ থেকে ১৯৫ টাকা। উত্তরা আজমপুর কাঁচা বাজারের বিক্রেতা ফরিদ মিয়া বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেল বিক্রি করা হচ্ছে। তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯২ থেকে ১৯৫ টাকায়। এছাড়াও বাজারে দাম বেড়েছে ময়দা, লবণ ও গুড়া দুধের। কমেছে ইন্ডিয়ান মুসুরির ডালের দাম।

এদিকে লাল ডিমের দাম কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। একদিন আগেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকা কেজি। ২০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা আশিক মিয়া বলেন, মুরগির উৎপাদন ও সাপ্লাই কম থাকায় দাম বেড়েছে। দাম আরো বাড়তে পারে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে