দুর্নীতিতে শীর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী : টিআইবি

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২২; সময়: ৪:১৮ অপরাহ্ণ |
দুর্নীতিতে শীর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী : টিআইবি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ২০২১ সালে দেশের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত সেবা খাত হলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। ঘুষ নেওয়ার দিক থেকে শীর্ষে পাসপোর্ট। আর সার্বিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত শীর্ষ তিন খাত হলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, পাসপোর্ট ও বিআরটিএ।

সেবা খাত নিয়ে এক জরিপের সার্বিক পর্যবেক্ষণে এই কথা বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে সেবার ওপর এই জরিপ চালানো হয়।

বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে গবেষক ফারহানা রহমান জরিপের এই তথ্য তুলে ধরেন। সেবা খাতের বিষয়ে এখন পর্যন্ত ৯টি খানা জরিপ করা হয়েছে।

টিআইবি জানিয়েছে, ২০২১ সালের জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৭০. ৯ শতাংশ ‘খানা’ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি খাত বা প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে গিয়ে কোনো না কোনো খাতে দুর্নীতির শিকার হয়েছে।

সেগুলোর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ৭৪.৪ শতাংশ সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে; এর পরেই রয়েছে পাসপোর্ট ৭০.৫ শতাংশ, বিআরটিএ ৬৮.৩ শতাংশ, বিচারিক সেবা ৫৬.৮ শতাংশ, সরকারি স্বাস্থ্য সেবা ৪৮.৭ শতাংশ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ৪৬.৬ শতাংশ এবং ভূমি সেবা ৪৬.৩ শতাংশ।

একই বাসস্থানে বসবাস করে, একই রান্নায় খাওয়া-দাওয়া করে এবং তাদের মধ্যে একজন খানাপ্রধান হিসেবে স্বীকৃত এমন পরিবারকে টিআইবি ‘খানা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

টিআইবি আরও জানিয়েছে, সার্বিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২১ সালে সেবাখাতে দুর্নীতির শিকার খানার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে ২০১৭ সালে ছিল ৬৬.৫ শতাংশ এবং ২০২১ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৭০.৮ শতাংশ।

তবে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ঘুষের শিকার খানার হার হ্রাস পেয়েছে। যেখানে ২০১৭ সালে ছিল ৪৯ দশমিক ৮ শতাংশ সেটা ২০২১ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ১ শতাংশ।

এ ছাড়া ঘুষ আদায়ের শিকার খানার কমেছে। ২০১৭ সালে যেখানে ৮৯ শতাংশ খানা ঘুষ দেওয়ার কারণ হিসেবে ‘ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না’ উল্লেখ করেছিলেন, ২০২১ সালে সেখানে ৭২ দশমিক ১ শতাংশ সেটা উল্লেখ করেছেন।

তবে, ৫৯ দশমিক ২ শতাংশ খানা ঘুষ দেওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হিসেবে ‘হয়রানি বা ঝামেলা এড়ানোর জন্য’ উল্লেখ করেছেন। যা ২০১৭ সালের ৪৭.১ শতাংশের তুলনায় বেশি। টিআইবি একে ঘুষ আদায়ের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের ধারার উদ্বেগজনক নির্দেশক হিসেবে উল্লেখ করেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে