চা শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২২; সময়: ৭:৪২ অপরাহ্ণ |
চা শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করতে সম্মত হয়েছেন চা বাগান মালিকেরা।

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বেলা সোয়া ৪টার দিকে গণভবনে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে ১৩টি চা বাগানের মালিক উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব জানান, চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকেরা অন্যান্য যেসব সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন সেগুলোও আনুপাতিক হারে বাড়ানো হবে। সে হিসাবে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি দাঁড়াবে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের কাজে যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি শিগগিরই শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বঙ্গভবনে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিলেট বিভাগের বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিকেরা ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকা নির্ধারণের দাবিতে কর্মবিরতি বা ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন। গত ৯ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে শ্রম অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন, মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনো মীমাংসা হয়নি। এ অবস্থায় আজ চা-বাগানের মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে হবিগঞ্জের ২৪টি চা-বাগানে শ্রমিকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার ১৮তম দিনের মতো শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করেন। বেলা ১১টা থেকে শ্রমিকেরা নিজ নিজ বাগানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।একই দাবিতে শুক্রবার ১৪তম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেন সিলেট ভ্যালির ২৩টি বাগানের চা-শ্রমিকেরা। গতকালও ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ ছিল। তবে ছিল না কোনো বিক্ষোভ কর্মসূচি।

চা-বাগানের শ্রমিকেরা বর্তমানে দৈনিক মজুরি পান মাত্র ১২০ টাকা। কয়েক মাস ধরে মালিকপক্ষের কাছে বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও মজুরি বাড়ানো হয়নি। সম্প্রতি নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম বাড়ায় শ্রমিকদের অবস্থা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে। এ প্রেক্ষাপটে ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন সারা দেশের দেড় শতাধিকা চা-বাগানের শ্রমিকেরা। মাঝখানে দুদিন বিরতি দিয়ে পুরোদমে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।

শ্রম অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন ও মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের কয়েক দফা বৈঠক হয়। এতে দুই দফায় মাত্র ২৫ টাকা বাড়িয়ে মজুরি ১৪৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়, যা স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাখ্যান করেন শ্রমিক নেতারা।

এদিকে, শ্রমিকদের একটা অংশ চা-বাগানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিদ্ধান্তের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জানানোর দাবি জানিয়েছেন, যাতে তাঁরা নিশ্চিত হতে পারেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে